পাঁচ বছর হয়ে গেলেই বাচ্চাদের হাতে সিগারেট তুলে দেয় পৃথিবীর কোন দেশের মানুষ?
নিউজ ডেস্ক – ধূমপান মূলত একটি ক্ষতিকারক উপাদান। প্রবীণ থেকে নবীন সকলেই বিষয়টি জানেন। পাশাপাশি সরকারি তরফ থেকে বহুবার বিভিন্ন অবস্থান কর্মসূচি বা বিজ্ঞাপন দিয়ে জনসাধারণকে প্রতিনিয়ত সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতেও কোনো ভ্রুক্ষেপ দিচ্ছেন না সাধারণ মানুষের। তবে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে বড়দের পাশাপাশি ছোটদেরও উৎসাহ দেওয়া হয় সিগারেট খেতে। এমন গ্রামটি রয়েছে পর্তুগালে। সেখানকার এই ছোট্ট গ্রামটির নাম ভেল দে সুলগেইরো।
জানা যায় পর্তুগালের এই প্রত্যন্ত গ্রাম টি বর্তমানেও কুসংস্কার গ্ৰস্ত। সেখানকার রীতি অনুযায়ী শিশুদের
পাঁচ বছর হয়ে গেলেই তাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় সিগারেট। এটি নাকি ওই গ্রামের রীতি। যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এই নিয়ম । ঘটনা প্রসঙ্গে গ্রামবাসীর এক বাসিন্দা গুইলহারমিনা মেথিউস জানান, “তার কন্যার দশ বছর হয়ে গেলে সিগারেট ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই গ্রামের নীতি বহু বছর পুরনো এবং এটিকে মান্যতাও দেয় সকলেই। তবে কী কারণে এই নিয়ম তৈরি হয়েছে সেই সম্পর্কে অজ্ঞতা বহু গ্রামবাসী।”
আশ্চর্যজনক কুসংস্কারের প্রসঙ্গের বিষয়ে এক লেখক জোস রিবেইরিনহা তার একটি বই ‘ভালে ডি সালগুইরো ফেস্টিভিটিস’-য়ে সব বিস্তারিতভাবে লিখে জানিয়েছেন, পর্তুগালের এই সমস্ত গ্রামে প্রত্যেক বছর জানুয়ারি মাসে মহাসমারোহে আয়োজিত হয় এক অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানে তার গ্রামের একজন ব্যক্তিকে রাজা সাজানো হয়। যিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল ব্যক্তিকে ওয়াইন ও খাবার সার্ভ করে। পাশাপাশি নাচ-গানের মধ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের কর্মসূচী শেষ হলে দশ বছর বয়সী বাচ্চাদের ধুম পান করানো হয়। যদিও পর্তুগালের নিয়ম অনুসারে ৮ বছর বয়স না হলে কোনো মানুষই তামাকজাত দ্রব্য
কিনতে পারবেন না। যদিও এই গ্রামটির ক্ষেত্রে সেই নিয়ম লাঘু করে না। তবে শিশুদের বয়স অতি নগণ্য হওয়ায় তারা সিগারেট টানতে না পারায় ধোয়াটা নিয়ে ছেড়ে দেয়। যদিও উৎসবের দিন ও তার পরের দিন অর্থাৎ ওই দুই দিন শিশুদের ধুম্রপানের অনুমতি দেওয়া হয়। পরবর্তীতে কোনো শিশুকে সিগারেট খেতে দেখার পর তাকে কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া নিয়ম রয়েছে গ্রামে।