চুল, ফুসফুস ভালো রাখতে গরম নাকি ঠাণ্ডা জলে স্নান করবেন?
নিউজ ডেস্কঃ বর্তমানদিনে বেশিরভাগ মানুষই রোগে জর্জরিত। এর কারন হিসাবে আমরা দায়ী করি খাওয়া দাওয়া এবং কিছু অভ্যাসকে।কিন্তু আপনারা কি জানেন যে এই রোগে জর্জরিত হওয়ার পিছনের একটি কারন আপনাদের স্নান করা জলও হতে পারে।হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। কেমন জলে আপনি স্নান করছেন, তার উপরও নির্ভর করে আপনার স্বাস্থ্য কেমন থাকবে?হালে ‘হলেথলাইন’ নামক জার্নালে স্নানের জল নিয়ে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।যার থেকে উঠে এসেছে নানা তথ্য। সেই বিষয়গুলি কী কী এক নজরে দেখে নিন।
• ঠান্ডা জলে স্নান: ঠাণ্ডা জলে স্নান করা আমাদের শরীরে পক্ষে খুবই উপকারি। কারন ঠাণ্ডা জল আমাদের শরীর থেকে ক্লান্তি দূর করতে এবং শরীরে রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।এছাড়াও শরীরের পশাপাশি আমাদের ত্বক এবং চুলকে ভালো রাখতেও সহায়তা করে।
• গরম জলে স্নান: খুব গরম জলে স্নান করা একদমই উচিত নয়। এটি ত্বক শুকিয়ে দেয়। তবে হালকা গরম জলে স্নান শরীরের কিছু কিছু ক্ষেত্রের যেমন- পেশি, ফুসফুস ইত্যাদির জন্য উপকারী।
• ভারী জলে স্নান:এই জলে থাকে প্রচুর খনিজ উপাদান।এই জলে স্নান করলে তেমন বড় কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।তবে এই জলে স্নান করার ফলে ত্বকের ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়ার সঙ্গে লড়াই ক্ষমতা হ্রাস পায়।
• হালকা জলে স্নান: এই জলে থাকে উচ্চমাত্রায় সোডিয়াম।যা আমাদের ত্বক চটচটে করে দেয়। এছাড়াও এই জল দিয়ে ঘনঘন স্নান করলে রক্তচাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের পক্ষে এই জলে স্নান করা উচিত নয়।
• জলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক: জলে ক্ষতিকারক রাসায়নিক আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষরিকারক।কারন পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে , বহু ক্ষেত্রেই ত্বকের ক্যানসারের জন্য দায়ী এই ক্ষতিকারক রাসায়নিক-পূর্ণ জলে স্নান করা। এই জন্য এই বিষয়ে সচেতন হন।