কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। আমলকীর অসাধারন কিছু উপকারিতা
আমলকিতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যেখানে মধু নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেলে সমৃদ্ধ। সেই কারণেই প্রতিদিন আমলকির রস এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খেলে নানা উপকার মেলে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এর উপকারিতা গুলো-
- জ্বরের প্রকোপ কমায় :
নিয়মিত মধু এবং আমলকির রস খেলে জ্বরের দাপট কমে যায়। সেই সঙ্গে হাঁচি-কাশি এবং জ্বর হওয়ার সম্ভবনাও হ্রাস পেতে শুরু করে।
প্রসঙ্গত, জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আগে অনেকেরই গলা ব্যথা হয়ে থাকে। এমন ধরনের সমস্যা কমাতেও আমলকির রস এবং মধু কাজে আসে।
- কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়:
শরীরে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বাড়ার কারণে চিন্তায় যারা থাকেন তারা নিয়মিত আমলকি এবং মধু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ মধু এবং আমলকির রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং উপকারি অ্যামাইনো এসিড রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পাশাপাশি হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
- ডায়াবেটিস রোগকে লাগাম দেয় :
নিয়মিত আমলকির রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার সম্ভবনাও হ্রাস পায়।
- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
আমলকি প্রকৃতিতে অ্যালকেলাইন জাতীয় যে কারণে আমলকির রস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে থাকা বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যেতে শুরু করে।
এটি হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
- লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
শরীরের ভেতরে যে কয়টি ভাইটাল অর্গ্যান রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল লিভার। লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে আমলকি এবং মধু।
- পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি দূর করে:
শরীরকে সচল রাখতে দৈনিক যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পড়ে, তার বেশিরভাগই সরবরাহ করে আমলকি। সেই সঙ্গে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন সি এবং ফসফরাসের মতো উপাদানের ঘাটতিও দূর করে।
- চুলের সৌন্দর্য বাড়ায়:
চুলের গঠনে প্রোটিনের অবদানকে অস্বীকার করা যায় না। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে আমলকিতে যেমন প্রোটিন রয়েছে, তেমনি রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো অ্যাসিড।
সেই কারণেই নিয়মিত আমলকি খাওয়ার অভ্যাস করলে চুলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনাও অনেকাংশে কমে যায়।
- ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়:
আমলকির রস এবং মধু মিশিয়ে বানানো মিশ্রনে তুলা দিয়ে যদি ভালো করে মুখ পরিষ্কার করা যায়, তাহলে কালো ছোপ ছোপ দাগ, ব্রণের দাগ এবং বলিরেখা কমে। সেই সঙ্গে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও ব্যাপকভাবে বাড়ে।