লাইফস্টাইল

শীতকালে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। এখুনি সাবধান হয়ে যান

ভারতের চিকিৎসক অদ্রিজা রহমন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আশ্চর্যজনক হলেও এ কথা সত্যি যে, আগের বছরগুলির তুলনায় শীতকালীন অ্যালার্জির প্রকোপ যেন এ বছর অনেকটাই বেশি। অনেকে ভাবেন ঠাণ্ডার জন্যেই বোধ হয় অ্যালার্জি হচ্ছে। 

কিন্তু আসলে তা নয়। অ্যালার্জির আসল কারণ হচ্ছে বায়ুদূষণ। তবে দূষণের কারণে যে সকলে একই রকম ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়বেন, এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। কারও রক্তে ‘ইয়োসিনোফিল’-এর পরিমাণ বেশি থাকলে, কিংবা কারও ক্ষেত্রে হিস্টামিন কোষ ভেঙে রক্তে না মিশলে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও ভিন্ন হবে।’

যাদের কখনো অ্যালার্জির সমস্যা ছিল না বর্তমানে তারাও এই সমস্যায় আছে। তিনি আরও বলেন যে, অ্যালার্জির প্রবণতা কেন বাড়ে তা জানতে গেলে প্রথমে বুঝতে হবে অ্যালার্জির কারণ। দেহের কোষে ‘হিস্টামিন’ নামে একটি যৌগ বন্দি অবস্থায় থাকে। শরীরবান্ধব নয়, এমন কিছু জিনিস শরীরে প্রবেশ করলে হিস্টামিনের বন্দি দশা নষ্ট হয়। তৎক্ষণাৎ সেটি তখন রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তে মিশতেই এর খারাপ প্রভাব পড়ে শরীরে। 

শীতকালে এটা বেশি হয় কারণ, এই সময়ে ‘অ্যালার্জেন’-এর সংখ্যা বাতাসে বেশি পরিমাণে থাকে। চোখ চুলকানো থেকে হাঁচি, কাশি, সর্দি, গলা খুসখুস, শ্বাসকষ্ট, ‌র‍্যাশ— এ সবেরই নেপথ্যে রয়েছে হিস্টামিন। 

আগে শীতকালে ভোরবেলা কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকত চারদিক। কিন্তু এখন যত দূর চোখ যায় সবসময় দেখা যায় ধোঁয়া। এই ধোঁয়া মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। বায়ুদূষণের কারণে এমনটা হচ্ছে। 

কিন্তু এতে আপনার কি কি করণীয়-

  • চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মনগড়া ওষুধ একেবারেই খাবেন না। যতই সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা হোক, দোকান থেকে ইচ্ছে মতো অ্যান্টি-বায়োটিক খাওয়া ভীষণ বিপজ্জনক।
  • গরম জলের বাষ্প নেওয়া, গার্গল করা পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু বেশি সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে।
  • মাস্ক পরার অভ্যাস করতে হবে। 

এছাড়াও মাঝেমধ্যে রক্তে ‘অ্যালার্জেন’ পরীক্ষা করে দেখে নিতে পারেন কোন জিনিসে সমস্যা হচ্ছে।

তবে অদ্রিজার মনে করেন, ‘শিশু এবং বয়স্কদের ভয় যেহেতু সবচেয়ে বেশি, তাই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সংক্রমণ হওয়ার আগেই দুটি টিকা নিয়ে রাখা জরুরি। একটি ফ্লু থেকে এবং আর একটি নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার জন্য। তবে টিকা নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *