কি করে বুঝবেন জরায়ুতে টিউমার রয়েছে?
আমরা প্রায় সকলেই জানি মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হয়। কিন্তু কেন হয় এই টিউমার?
জরায়ুর পেশির অতিরিক্ত ও অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে যে টিউমারটি হতে দেখা যায় তা হলো ফাইব্রয়েড বা সায়োমা। সাধারণত প্রজননক্ষম বয়সে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নারীদের মধ্যে জরায়ুতে সবচেয়ে বেশি এ ধরনের টিউমার দেখা দেয়। ফাইব্রয়েড এক ধরনের নিরীহ টিউমার, এটি ক্যান্সার নয়। অনেক সময় জরায়ুর গহ্বরে নানা ধরনের টিউমার সৃষ্টি হতে পারে। এবং এক সাথে ৮-১০টি পর্যন্ত হতে পারে।
কোনো কোনো টিউমার থেকে পুঁজ রক্ত বের হতে পারে আবার কোনো কোনো টিউমার থেকে এই জাতীয় স্রাব বের নাও হতে পারে। একে Fibroma Myoma/Fibroid Myoma বলে।
চলুন জেনে নিই মেয়েদের জরায়ুতে টিউমার হওয়ার কারণ কি কি?
- ফাইব্রয়েডের কারণে জরায়ু অতিরিক্ত বড় হয়ে যায়।
- জরায়ুর ভেতরের দেয়ালে রক্তনালির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ভ্রূণ ঠিকমতো বেড়ে উঠতে পারে না।
- জরায়ু পেশির ওপর অনবরত চাপ পড়া বা জোর পড়ার কারণে।
- বংশগত কারণে।
- হাইপার আসট্রিনিজম।
কি করে বোঝা যাবে জরায়ুতে টিউমার হয়েছে? টিউমার হওয়ার উপসর্গগুলি হল-
- মেট্রোরেজিয়া বা জরায়ু থেকে অস্বাভাবিক, দীর্ঘস্থায়ী এবং অনিয়মিতভাবে হওয়া অত্যধিক রক্তপাত, মহিলাদের নিয়মিত মাসিকের সময়ের বাইরে অপ্রত্যাশিত রক্তপাত অথবা স্বাভাবিক মাসিকের সময় ছাড়া মধ্যবর্তী সময়ে রক্তপাত।
- অত্যধিক রক্তপাত অথবা বেদনাদায়ক রজঃস্রাবের কারণে অ্যানিমিয়া অর্থাৎ, হিমোগ্লোবিন বা লোহিত (লাল) রক্তকোষ হ্রাস পাওয়া।
- মূত্রথলির উপরে টিউমারের চাপ দেওয়ার কারণে প্রস্রাবের পুনরাবৃত্তি বেড়ে যাওয়া।
- ঢিমে ব্যথা হওয়া ধরণের পিঠের নীচের অংশে ব্যথা।
- পেটে (তলপেট) “ভরাভাব”-এর একটা অনুভূতি। কোনও কোনও সময় এটাকে “পেলভিক প্রেসার”ও বলা হয়।
- জননতন্ত্রে সমস্যা যেমন বহুবার গর্ভস্রাব, গর্ভাবস্থায় সময়ের আগেই প্রসব বেদনা, এবং বন্ধ্যাত্ব।