অফবিট

যৌন পল্লীকে ‘রেড লাইট এরিয়া’ বলার পেছনে কি কারন রয়েছে?

নিউজ ডেস্কঃ নিষিদ্ধপল্লি বা রেড লাইট এরিয়ার নাম শুনলেই সকলের ধারণায় প্রথমে একটি কথাই আসে আর সেটি হলো যৌন ব্যবসা। পশ্চিমবঙ্গে যৌন ব্যবসা অবৈধ হলেও অন্যান্য দেশে এই ব্যবসাকে মান্যতা দিয়েছেন সেখানকার সরকার। তবে যৌন ব্যবসার সাথে লাল রঙের বা যৌন পল্লীকে ‘রেড লাইট এরিয়া’ বলার পিছনে কয়েকটি বিশেষ কারণ রয়েছে। সেই কারণ গুলি  নীচে  স্ববিস্তারিত বর্ণনা করা হলো – 

কোন পুরুষ একটি নারীর সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হলে তখন সেই মুহূর্তে আংশিক সময়ের জন্য হিংস্র হয়ে ওঠেন তারা। কার্যত তখন সেই মুহূর্তকে প্রকৃতির স্বচ্ছ আলো অথবা কোন নির্মল আলোতে প্রকাশ না করে এক উগ্ৰ আলোতেই এই মিলন কার্য সম্পন্ন করে থাকেন যৌনপল্লীর বাসিন্দারা। জানা যায় ‘লাল’ আলোর সঙ্গে যৌনতা সম্পৃক্ত বলে মনে করা হত আমেরিকা এবং ইউরোপের একাংশে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে বেলজিয়াম এবং ফ্রান্সের বহু যৌনপল্লিতে নীল আলো ব্যবহার করা হত। যার অর্থ ছিল, সেই সব যৌনপল্লিতে একমাত্র উচ্চপদাধিকারীদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। লাল আলো যেখানে জ্বালানো হত, সেখানে প্রবেশাধিকার ছিল বাকিদের।

এছাড়াও চীনের যৌনপল্লী গুলোতেও লাল বাতি জ্বালিয়ে রাখার রেওয়াজ ছিল। তবে শুধু চীন নয় ইউরোপেও কথিত আছে বিশ্বযুদ্ধের সময় কালে সেখানকার রেললাইনের পাশে গঠিত ছিল যৌনপল্লী। কার্যত সেখানে যখন রেলকর্মীরা নিজেদের মনোরঞ্জনের জন্য যেতেন সেই সময় কোঠির বাইরে তারা তাদের লাল লন্ঠনটি  রেখে যেতেন। অপরদিকে জাপানের ক্ষেত্রেও একই ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ইতিহাসে। জাপানে “রেড লাইট ডিস্ট্রিক্ট’’-এর অন্যতম জাপানি অনুবাদ হল ‘‘আকাসেন’’। যার আক্ষরিক অর্থ ‘‘লাল দাগ’’। বৈধ যৌনপল্লিগুলির এলাকা বোঝাতে জাপানি পুলিশ লাল দাগ দিয়ে সেগুলির সীমানা চিহ্নিত করত। বাকি এলাকা চিহ্নিত করা হত নীল কালি দিয়ে। কার্যত এই ভাবেই বিশ্বযুদ্ধের সময় কাল থেকে যৌনপল্লী গুলিকে লাল সংকেতের মাধ্যমে আলাদা রূপে চিহ্নিত করার প্রথা আজও অব্যাহত রয়েছে সারা দেশে। যার কারণে একুশ দশকে দাঁড়িয়েও শিক্ষিত সমাজের ছোট থেকে বড় সকলেই দেহ ব্যবসার আস্তানাকে যৌনপল্লী বা রেড লাইট এরিয়া বলেই জানেন। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *