লাইফস্টাইল

কিডনি রোগের জন্য উপকারী। চায়ের অসাধারন কিছু উপকারিতা

দু একজন ছাড়া প্রায় প্রত্যেকেই আমরা চা পান করে থাকি। ক্লান্তি দূর করতে এক কাপ চায়ের তুলনা হয় না।

অনেকের চায়ের নেশাও আছে।  আজকাল বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্যানসার রোধেও চায়ের উপকারিতা অনেক। অবশ্য এ বিষয়ে সুনিশ্চিত কিছু এখনও জানা যায়নি। 

তবে চায়ের কিছু উপাদান প্রাণিকোষের ডিএনএ সুরক্ষায় কাজ করে। এর ফলে ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

এছাড়াও চায়ের অন্যান্য উপকারিতাও আছে। 

আসুন জেনে নেওয়া যাক চায়ের উপকারিতা-

  • গ্রিন টি:

              গ্রীন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে।ফিগার ঠিক রাখতে অনেকেই গ্রীন টি-এর প্রতি বেশি ঝুঁকছেন। গ্রীন টি প্রথমে ছিল ওষুধ, তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে।

জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রিন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট। গ্রীন টি তে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়োজন। নিয়মিত সবুজ চা পান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমিয়ে দেয়।

 এছাড়াও কিডনি রোগের জন্য উপকারী। হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। পোকামাকড় কামড়ালে যদি ঐ স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা দিয়ে ঢেকে দিলে আরাম বোধ হয়। রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।

  • চায়ে আছে এপিগ্যালোক্যাটেচিন-গ্যালেট (ইজিসিজি) নামের একধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা খুব কার্যকর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। ভিটামিন ‘সি’-এর চেয়ে ১০০ গুণ বেশি ফলদায়ক। এটা ডিএনএ সেলকে এমনভাবে সুরক্ষা দেয়, যেন ক্যানসারের প্রভাবে এর রূপান্তর না ঘটে।
  • শুধু চা বেশি উপকারী। দুধ-চিনি মেশানো চায়ের স্বাদ অবশ্য বেশি ভালো। তবে বিজ্ঞানীরা হালকা লাল চায়ের কথাই বেশি বলেন।
  • এছাড়া চা রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের জন্যও উপকারী। লিকার চা দাঁতের ক্ষয়রোধ ও মাড়ি শক্ত করে। কাটা জায়গায় গ্রিন টি’ এর লিকার লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়। নিয়মিত চা পানে রক্ত চলাচল ভালো হয়৷ পেট পরিষ্কার রাখে আর মস্তিষ্ককে  সচল রাখে। 

তবে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। যাদের চায়ের নেশা আছে, অর্থাৎ ঘন ঘন চা পান করেন তাদের সেই বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত। 

জেনে নেওয়া যাক চায়ের কিছু অপকারিতা-

অনেকেই সকালের জল-খাবার বা দুপুরের খাবারের পরেও চা বা কফি পান করে থাকে। তবে, সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা পান না করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায়। শরীরে অন্য খাবার গুলো থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। খাবার খাওয়ার আগে চা পান করলেও হজম বাঁধাগ্রস্থ হয় যাতে খাবার থেকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান করা উচিত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *