অফবিট

মোরগ-মুরগি কে মৃত্যুর অগ্রদূত বলার পেছনে কি কারন রয়েছে জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ অনেকে মনে করে যে পশুপাখিরা নাকি কিছু খারাপ হওয়ার আগে বুঝতে পারে এমন কি আগাম মৃত্যুর বার্তাও নাকি বুঝতে পারে। আমরা সবাই মনে করি যে ভগবান ছাড়া কেউ জানতে পারে না যে আপনার কখন মৃত্যু হতে চলেছে কিন্তু এই পশুপাখিরা নাকি সেটাও বুঝতে পারে। এই কথাটিকে আপনারা অন্ধবিশ্বাস বা কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিলেও যেই কথাটি এখন বলতে চলেছি সেটা শুনে আপনারা পশুপাখিরা আগাম মৃত্যু বার্তা বুঝতে পারে সেই নিয়ে কোন সন্দেহ থাকবে না আপনাদের মনের মধ্যে।এর চাক্ষুস প্রমান হল রোজ আইল্যান্ডে। ওখানে অস্কার নামে একটি বিড়াল কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে আশ্চর্য আচরণ করত। তখন ওই বিড়ালটিকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।তখন সেখানে কোনো রোগীর মৃত্যু আসন্ন হলে, সেই মৃত্যুপথযাত্রীর বিছানার পাশে গিয়ে বসে থাকতো বিড়ালটি। এভাবে অস্কার নামের ওই বিড়ালটি ২৫টি মৃত্যু পথযাত্রীর অগ্রিম খবর আগাম জানিয়ে দিয়েছিল।তাই এই রকম অনেক প্রাণী আছে যারা মৃত্যুর আগাম বার্তা দিতে পারে। তাহলে আজকে জেনে নেওয়া যাক এই রকম কয়েকটি প্রাণীর সম্পর্কে।

মোরগ-মুরগি: একেক জায়গায় একেক রকমের প্রাণীদের নিয়ে ধারনা পোষণ মানুষজন।যেমন- পশ্চিমার মানুষজন।ওখানে মোরগ-মুরগি কে মৃত্যুর অগ্রদূত বলে করে।তাদের মতে যদি কোনো মোরগ কোনো মুরগির সঙ্গে ‘কথা বলে’, তাহলে নাকি সেখানে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একটি মৃত্যু ঘটতে চলেছে।আর এই রকম এমন ক্ষেত্রে নাকি অবিবাহিতা মেয়েদের মৃত্যুর আশঙ্কাই বেশি থাকে।আবার যদি দু’টি মুরগি একটি মোরগের সঙ্গে কথা বলে তাহলে নাকি কোনো দম্পতির মৃত্যু আসন্ন।এছাড়াও আবার যদি কোনো মুরগি কোনো মোরগের ডাককে নকল করে তাহলে নাকি সেখানে মৃত্যু ঘোরাফেরা করছে বলে মনে করা হয়।

বিড়াল: এই গবেষণার দ্বারা জানা গেছে যে বিড়াল আসন্ন মৃত্যুর বার্তা জানাতে পারে।বলা হয় যে তারা নাকি আগাম মৃত্যুর গন্ধ পায়।আর এই রকমই একটি ঘটনা উদাহরণ হল রোজ আইল্যান্ডে।ওখানে অস্কার নামে একটি বিড়াল কোন ব্যক্তির মৃত্যুর সময়ে আশ্চর্য আচরণ করত।তখন ওই বিড়ালটিকে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।তখন সেখানে কোনো রোগীর মৃত্যু আসন্ন হলে, সেই মৃত্যুপথযাত্রীর বিছানার পাশে গিয়ে বসে থাকতো বিড়ালটি। এভাবে অস্কার নামের ওই বিড়ালটি ২৫টি মৃত্যুপথযাত্রীর অগ্রিম খবর আগাম জানিয়ে দিয়েছিল।

পেঁচা: ক্যাথলিক সন্ন্যাসীরা পেঁচাকে দীর্ঘকাল ধরে ‘ডেভিলের অ্যাসোসিয়েট’ বলে বর্ণনা করে এসেছেন।তাই পেঁচাকে অশুভ প্রাণী বলে মনে করা হয়।আর এই ধারনাটি এই ধারণা বহু পুরনো।মনে করা হয় যে এই প্রাণীটি গান গাইলে অর্থাৎ  পেঁচার একটি বিশেষ ডাককেই ‘গান’ বলা হয়েছে যা মৃত্যু বার্তা বহন করে।

কালো প্রজাপতি: এছাড়াও কালো প্রজাপতিকে খারাপ সংকেতের বাহক বলে মনে করেন অনেকের।তাই এই ধারণা থেকেই মনে করা হয় যে রাত ছাড়া এই কালো পতঙ্গকে দেখা গেলেই তা অশুভ ইঙ্গিত দেয়।আর এমন ধারনাও আমাদের দেশে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অবিস্মরণীয় ছোটগল্প মধ্যে পাওয়া গেছে।গল্পটির নাম ‘মরণ ভোমরা’ যা একটি কালো ভ্রমরকে মৃত্যুর অগ্রদূত বলে মনে করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *