নিয়মিত মদ্যপান করলে তরমুজ থেকে দূরে থাকতে কেন বলা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ তরমুজ খুবই উপকারী এক ফল। তীব্র গ্রীষ্মের দহনে শরীরে যখন প্রয়োজনীয় জলের অভাব দেখা যায় সেই সময় তরমুজ যেন প্রাণ ফিরিয়ে আনে শরীরে। এটা শরীরে প্রয়োজনীয় জলের ভারসাম্য যেমন রক্ষা করে তেমনি শরীরে খনিজের অভাব মেটায়। তরমুজের উপকারিতা যে অসামান্য একথা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। কিন্তু তরমুজের ও কিন্তু বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। ভাবছেন তো তরমুজের আবার কি অপকারিতা থাকতে পারে?
তরমুজে রয়েছে হাই ফাইবার যার ফলে অতিরিক্ত তরমুজ খেলে ডায়রিয়া-সহ পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও এতে রয়েছে সরবিটল (সুগার কমপাউন্ড) যা শরীরে অম্বল, বদহজমের মতো সমস্যার সৃষ্টি করে।
তরমুজের গাঢ় উজ্জ্বল রং আমাদের সকলকেই বেশ আকৃষ্ট করে। আর এই গাঢ় রঙের কারণ লাইকোপিন নামক রাসায়নিক ।জানেন কি এই লাইকোপিন এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অধিক মাত্রায় শরীরে গেলে পেটের নানা সমস্যা হতে পারে। হজমের সমস্যা ও দেখা দিতে পারে এটি থেকে।
তরমুজ নিঃসন্দেহ খুবই স্বাস্থ্যকর ফল। কিন্তু এতে শর্করার পরিমাণ খুব ই বেশি। তাই ডায়বিটিসের হাত থেকে বাঁচতে চাইলে প্রতিদিন তরমুজ না খাওয়ায় ভালো।
এছাড়া যারা নিয়মিত মদ্যপান করেন তাদের জন্য তরমুজ একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয় বরং এই বইটি তাদের এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ, তরমুজের রাসায়নিক উপাদান লাইকোপিন অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশে লিভারের ভীষণ ক্ষতি করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তরমুজ খেলে শরীরে জলীয় উপাদান বেশি মাত্রায় বেড়ে যায়। আর এই ‘ওভার-হাইড্রেশন’-এর ফলে কিডনির নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। শরীরকেও যা খুব দুর্বল করে দিতে পারে।
তরমুজে উপস্থিত থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম। যা আমাদের হার্ট ভাল রাখে, পেশী শক্তি বাড়ায়, হাড়ের গঠন মজবুত করে নিশ্চয়ই কিন্তু, অতিরিক্ত পটাসিয়াম শরীরে গেলে হৃদরোগের ও ঝুঁকি বাড়ে, পালস রেট কমে যায়।
নিউট্রিশনিস্টদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ক্যালোরির পরিমাণ ৩০ ও শর্করার পরিমাণ প্রায় ৬ গ্রাম। একদিনে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ হজম করা সম্ভব, কারণ এতে শরীরে ঢোকে ১৫০ ক্যালোরি। কিন্তু, এর থেকে বেশি তরমুজ খেলে সেটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।