সকালে কিশমিশ ও রাতে খেজুর খান। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর থাকতে যে নিয়ম গুলি মানবেন
নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া:
মোটা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া। অর্থাত্ আপনাকে নিয়মিত সঠিক সময়ে সাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে।
যেমন- সেদ্ধ ডিম, গরুর দুধ, মাছ, মাংস, এছাড়াও আছে পুষ্টিকর ফল, যেমন – পেয়ারা, খেজুর, বাদাম ইত্যাদি।
- সকালে কিশমিশ ও রাতে খেজুর খান:
মোটা হওয়ার জন্য অনেক খাবার রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ও খুবই কার্যকরী খাবার হচ্ছে কিশমিশ ও খেজুর। রাতে একটি গ্লাসে ২০-৩০ টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিশমিশ খেয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে জলও খেতে পারেন শরীর ভালো রাখার জন্য, উপকার পাবেন।আর রাতে ভালো মানের খেজুর প্রতিদিন ৫-৭ টা ধুয়ে খান। এইভাবে নিয়মিত খেতে পারলে ভালো ফল পাবেন। অর্থাত্ প্রতিদিন সকালে কিশমিশ ও রাতে খেজুর খেতে পারলে, ওজন খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। যেখানে থাকবে না কোনো সাইট এফেক্ট, খুব নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কোনো সমস্যাই হবে না। শুধু তাই নয়, ওজন বাড়ার সাথে সাথে আরও অনেক উপকার পাবেন।
- ওজন কমানো খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে:
যে খাবার গুলো খেলে শরীরের মেদ দ্রুত কমে যায়, সেই সমস্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। যেমন- বেশি পরিমাণে জল, আপেল, ভিজানো বাদাম ও আরও অন্যান্য খাবার অর্থাত্ যেগুলোতে শরীরের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়, এইগুলো খাওয়া কমিয়ে দিন। একেবারে বন্ধ করা ঠিক হবে না, শুধু খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে।
- নিয়মিত ব্যায়াম বা জিম করুন:
হ্যাঁ, নিয়মিত ব্যায়াম বা জিম করুন, দেখবেন কিছু দিনের মধ্যে সাস্থ্যবান হয়ে যাবেন। আর ওজন বাড়াতে গেলে শুধু দৌড় বা জগিং যথেষ্ট নয়। দরকার জিমে গিয়ে ওয়েট লিফটিং। সিট আপ, পুস আপ এই সব তো করবেনই, তাছাড়া কার্ডিয়ো করা দরকার। শুধু খাবার খেলেই চলবে না, আপনাকে অবশ্যই ব্যায়াম করতে হবে। ফিটনেস ভালো রাখার জন্য খাবারের পাশাপাশি জিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- নিজেকে সর্বদা স্ট্রেস মুক্ত রাখুন:
মানসিক চাপ প্রতিটা মানুষের কতটা যে ক্ষতি করে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অতিরিক্ত স্ট্রেস থাকলে আপনি প্রায় অসুস্থ হয়ে যাবেন, আর কাজের কাজ কিছুই হবে না। শুধু তাই নয়, স্ট্রেস মুক্ত না থাকলে আপনি দিন দিন রোগা হতে থাকবেন। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যারা মাত্রাতিরিক্ত চাপ নিয়ে থাকে, দুশ্চিন্তা করে সবসময়, দিন দিন তাদের ওজন কমতে থাকে ও একটা সময় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।
মোটা হওয়ার উপায় গুলোর মধ্যে আরেকটি প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে মেটাবলিজম কমানো। সাধারণত মানুষের দেহের ওজন কম হওয়ার ব্যাপারে উচ্চ মেটাবলিজমও অনেকটা দায়ী থাকে। যদি আপনার শরীরে উচ্চমাত্রায় মেটাবলিজম থাকে তাহলে শরীরে তা ক্যালরিকে বাড়তে দেয় না। ফলে ওজন কম থাকে। তাই মোটা হতে গেলে সবার প্রথমে এই মেটাবলিজমের হার কমাতে হবে। ফলে যা খাবার খাওয়া হবে তা বাড়তি ওজনের আকারে শরীরে জমা হতে থাকবে। মেটাবলিজম কম রাখতে হলে রোজ দুপুরে খাওয়ার পর কিছুক্ষণ ঘুমনো যেতে পারে।
- দৈনিক ৮ ঘণ্টা ঘুমানো হবে:
প্রতিদিন নিয়ম করে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। নিয়মিত যদি না ঘুমান তাহলে শরীর অসুস্থের পাশাপাশি রোগা ও হালকা হয়ে যাবেন। অর্থাত্ আপনার ওজন কমে যাবে। তাই যদি মোটা হতে চান ও নিজেকে স্বাস্থ্যবান করে তুলতে চান, তাহলে রাতে নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ও দিনে দুপুরে খাওয়ার পর ২ ঘণ্টা ঘুমান। উপরের সব কিছু ঠিক রাখার পর এইভাবে ঘুমাতে পারলে, শরীর-স্বাস্থ্য মোটা ও সতেজ থাকবে সবসময়। ওজন বাড়ানোর জন্য একটা অব্যর্থ কৌশল হলো রাতের বেলা ঘুমানোর আগে অবশ্যই পুষ্টিকর কিছু খাবেন।