ছোটখাটো আঘাতেই ফ্র্যাকচার! ভিটামিন ডি নেই তো? সাবধান!
ভিটামিন ‘ডি’ শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি অনেকের শরীরেই কম। কিন্তু অনেকেই জানেন না।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা শহরের বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রুদ্রজিৎ পাল বলেছেন, ‘এই ভিটামিন শরীরে থাকতেই হবে। এর অনেক কাজ রয়েছে। এই ভিটামিন ক্যালশিয়ামকে হাড়ে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া পেশির কাজেও ভীষণ প্রয়োজন। আবার দেখা গিয়েছে, জিন গঠনের নানা প্রক্রিয়ায় এর ব্যবহার রয়েছে।’ যেহেতু অনেকেই জানেন না শরীরে ভিটামিন ডি কমে গেছে, তাই সচেতন থাকতে হবে। উপসর্গ আগে থেকে জানা থাকলে ভালো।
ভিটামিন ‘ডি’ অভাবের লক্ষণ-
- গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথা।
- দুর্বলতা।
- ছোটখাটো আঘাতেই ফ্র্যাকচার।
- হাড়ে কট কট শব্দ হওয়া।
- হাড়ের ক্ষয়।
- ছোটদের ক্ষেত্রে উচ্চতা না বাড়া ইত্যাদি।
কিন্তু কেন ঘাটতি হয় শরীরে?
ডা. রুদ্রজিৎ পালের মতে, নানা কারণে শরীরে এর ঘাটতি হতে পারে। মূলত পুষ্টির অভাব হলে হয়। আমিষ খাবার থেকে পাবেন এই ভিটামিন। আমিষ খাবার কম খেলে এমনটা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু জিনগত অসুখের কারণেও এই ভিটামিন শরীরে কাজ করতে পারে না। সূর্যের আলো শরীর না পেলেও ভিটামিন ডি-এর অভাব হতে পারে।
শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা প্রচুর। প্রতিদিন ১০০০ থেকে ১২০০ ইউনিট প্রয়োজন হয়। সূর্যের আলোয় দাঁড়ালে ভিটামিন ডি মেলে। তবে খুব বেশি নয়। তবুও শরীরে এর ঘাটতি মেটাতে চাইলে রোদে বের হতে হবে। মুখ ও বুকের দিকের অংশ ঢেকে রোদে দাঁড়াতে হবে। শীতে দুপুরের দিকে রোদ পোহালে ভালো হয়। ১৫-২০ মিনিট রোদে থাকুন। মাছ, ডিম, দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার (মাখন, ছানা) ইত্যাদি। এ ছাড়া মাংস ও সোয়াবিনে মিলবে সামান্য ভিটামিন ‘ডি’।