যৌবনকালে শুক্রাল্পতায় সাহায্য করে। শিমুল গাছের মূলের অসাধারন কিছু উপকারিতা
একটু আঘাত পেলেই বা অন্য কোনো রোগের উপশম ঘটলেই আমরা ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই। কিন্তু, ঘরোয়া কিছু টোটকা জানা থাকলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দরকার পড়ে না। এতে যেমন সময় বাঁচে তেমনই অর্থও সাশ্রয় হয়।
বহু যুগ আগে যখন চিকিৎসা বিজ্ঞান এতো উন্নত ছিল না তখন ঘরোয়া পদ্ধতিতে বিভিন্ন গাছের ছাল বা মূল এর সাহায্যে রোগীর চিকিৎসা করে তাকে সারিয়ে তোলা হতো। এমনই একটি উপকারী গাছ হলো শিমুল গাছ, বিশেষ করে শিমুল গাছের মূল।
চলুন জেনে নেওয়া যাক, শিমুল গাছের মূলের কিছু উপকারিতা-
- ফোড়া-
ফোড়া হলে শিমুল গাছের ছাল ধুয়ে বেটে, ফোড়ার উপর প্রলেপ দিলে উপকার হয়।
- যৌবনকালে শুক্রাল্পতায়-
চারা শিমুলগাছের মূল বেটে ৭ থেকে ১০ গ্রাম নিয়ে তার সাথে একটু চিনি মিশিয়ে দু’বেলা খেলে শুক্রাল্পতা দুর হবে।
- প্রদরে-
শিমুলের কচি মূল গাওয়া ঘিয়ে ভেজে নিন। নামাবার সময় তাতে সামান্য সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে দিন। এবার দেড় গ্রাম মাত্রায় নিয়ে এটা দু’বেলা খাবেন। প্রদরে খুব উপকার হয়।
- পোড়া ঘায়ে-
শিমুল তুলা নিয়ে তাতে শিমুল গাছের ছাল ভিজিয়ে ছালের রস টা পোড়া ঘায়ে দিন, ঘা সেরে যাবে।
রক্ত আমাশয়ে-
শিমুলের ছাল চুর্ণ করে এক থেকে দুই গ্রাম মাত্রায় নিয়ে, ছাগল দুধের সাথে মিশিয়ে দু বেলা খাওয়ালে উপকার হবে।
রক্তস্রাবে-
অনেক ক্ষেত্রে মহিলাদের অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয় । আর এটি খেলে এই রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- শারীরিক দুর্বলতা-
শারীরিক দুর্বলতা দূর করতে প্রতিদিন এই চূণের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে ভালো কাজ করে। এতে বলা যায় শিমুল মূলের উপকারিতা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।