এক ছোবলে ৪০০ জনের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে। পৃথিবীর ৪ টি ভয়ঙ্কর বিষধর সাপের নাম জানেন?
নিউজ ডেস্কঃ সাপের বসবাস পৃথিবীতে বহু বছর ধরে তাই সাপ সম্পর্কে জ্ঞান তো সবারই আছে। যে সাপ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। কিন্তু এখন যেই সাপের সম্পর্কে জানবেন তা কল্পনার থেকেও অনেকটা বেশি বিষধর।
১) ইংল্যান্ড তাইপানঃ এই সাপটি বিষাক্ত সাপের মধ্যে একটি।যার কামড়ে নির্গত বিষ ১০০ জন মানুষকে মেরে ফেলার ক্ষমতা রাখে। এই সাপের কামড়ে ৩০-৪৫ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা শুরু না করলে সেই ব্যাক্তির মৃত্যু অনিবার্য।এই সাপটি স্বভাব শান্ত প্রকৃতির কিন্তু তাকে জালাতন করলে খুব দ্রুত গতিতে অর্থাৎ চোখের পলক ফেলার আগেই এরা আক্রমণ করে।এর বিষ কিং কোবরার থেকেও ৫০ গুন বেশি মারাত্মক।
২) কিং কোবরাঃ কিং কবরা পৃথিবীর সবচেয়ে বিষাক্ত ও লম্বা সাপ।এরা প্রায় ৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।এই সাপ বিষাক্ত হওয়ার পাশাপাশি শক্তিশালিও হয়।এটি একটি হাতিকে মেরে ফেলে এমনকি অন্যান্য বিষাক্ত সাপেদের কেউ মেরে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে।এরা অনেকদিন না খেয়েও থাকতে পারে।এরা সহজে বিষ ছাড়ে না।অনেক সময় এরা বিষ ছাড়ায় কামড় দেয়।এই সাপ কামড়ালে ৩ ঘন্টার মধ্যে চিকিৎসা না করলে মৃত্যু অনিবার্য।
৩)ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেকঃ অস্ট্রেলিয়াতে পাওয়া এই সাপের বিষ ১৪০০ ভাগের ১ ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম।এই সাপ একবার বিপদ সংকেত পেলেই এরা চোবোল মারে এমন কি এই সাপ নড়াচড়া দেখলেই প্রতিক্রিয়া করে।এই সাপের কামড়ে ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা না করলে মানুষের মৃত্যু ঘটবেই।
৪) ব্যান্ডেড সি ক্রেইটঃ এই সাপটি জলে বসবাস করে।এই সাপের বিষে কয়েক মিলিগ্রাম কয়েক হাজার মানুষ মেরে ফেলতে সক্ষম।এই সাপটি সাউথ ইস্ট এশিয়া এবং নরদান অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্রে বসবাস করে।এই সাপের স্বভাব শান্ত প্রকৃতির তাই এরা সহজে মানুষকে আক্রমণ করে না।কিন্তু যেই মানুষকে কামরা সেই মানুষের কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে।