অফবিট

পরিবারের সকল ভাইয়েরা মিলে একজন নারিকেই বিয়ে করে। কোন দেশে রয়েছে এই নিয়ম?

নিউজ ডেস্ক – স্বাভাবিকভাবেই দেখা যায় বিয়ের পরেই সকলে যৌন মিলন করে থাকেন। কিন্তু অনেকাংশে আবার উন্নত সমাজের উন্নত নাগরিকরা এটি বিয়ের আগেই করে থাকেন। সেটা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোন দেশেই কোনরকম বাধ্যবাধকতা থাকেনা যৌন মিলন নিয়ে। তবে এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে বিয়ের আগে যৌন মিলন করা একান্তই বাধ্যতামূলক। বিগত কয়েক বছর ধরেই রীতিনীতি অনুযায়ী চলে আসছে এই পরম্পরা। আর সকলকে মানতে হচ্ছে তাই। এসকল দেশগুলির পরম্পরা অনুযায়ী কিছু তথ্য দেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল….. 

১)সাম্বিয়ান উপজাতি: এই উপজাতির মানুষেরা বাস করে নিউগিনিতে। এখানে রীতি অনুযায়ী ৭ বছর থেকে এই সকল নারী ও পুরুষকে আলাদা করে দেওয়া হয়। কখনো এদের একসঙ্গে থাকতে দেওয়া হয় না। এরপরে যখন তারা ১০ বছরে পদার্পণ করে তখন তাদের নাকে ও কানে পিয়ারসিং করায়। তবে এখানেই গোষ্ঠী সব নিয়ম শেষ হয়ে যায় না। এমন একটি কাজ করে থাকেন এ রাজা অধিকাংশ মানুষের পক্ষে অসম্ভব। এখানে সকল মেয়েদের বীরযোদ্ধা পুরুষদের বীর্য পান করতে হয়। কারণ এই গোষ্ঠীর মতে বীর্য পান করলে বীর সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন সকল নারীরা।  

২)ট্রোব্রিয়ানডর উপজাতি: পাপুয়া নিউ গিনির এইসকল বাসিন্দাদের খুব অল্প বয়স থেকেই যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। যেখানে ছেলেদের বয়স থাকে  ১০ ও মেয়েদের বয়স ৭ বছর। এই  অল্প বছর বয়সী থেকেই সকলে  যৌন কর্মে পারদর্শী হয়ে ওঠে। 

৩)মাঙ্গাইয়া উপজাতি: প্রশান্ত মহাসাগরের একটি দ্বীপ হল মাঙ্গাইয়া। এখানে রীতি অনুযায়ী খুব অল্প বয়সী ছেলেরা অর্থাৎ ১০ বছর বয়সী সকল ছেলেরা তাদের থেকে অধিক বয়স্ক মহিলাদের যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়।

৪)অস্ট্রিয়া: এই দেশের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাসরত এক গোষ্ঠীর নিয়ম অনুযায়ী যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগে এখানকার সকল মেয়েরা তাদের বগলের তলায় আপেলের টুকরো নিয়ে নাচ করে। পরবর্তীতে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হওয়ার আগে সে আপেলের টুকরো খাওয়ানোর রীতি রয়েছে এখানে।

৫)ক্রেয়াঙ উপজাতি: এই দেশের কম্বোডিয়ায় উপস্থিত এক গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষেরা একটি নির্দিষ্ট বাড়ি বানায়। যার নাম ‘লাভ হাট’। এখানকার রীতি অনুযায়ী সকল মেয়েরা যতক্ষণ না তাদের নিজেদের পুরুষ সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছেন ততক্ষণ অন্যান্য পুরুষদের নিয়ে এই বাড়িতে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়। 

৬) গ্ৰীক:  প্রাচীন গ্রীকের ছিল এক অদ্ভুদ রীতি। এখানে শুধুমাত্র বিপরীত লিঙ্গ একে অপরকে আকর্ষণ করতো তা নয় এখানে সেই যুগ থেকে সমকামিতা রীতি ছিল। কোন পুরুষ অন্য পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয় তার সঙ্গেই যৌনমিলনে লিপ্ত হতে পারত।

৭) নেপাল: এই দেশে এমন একটি উপজাতি রয়েছে যারা একই পরিবারের সকল ভাইয়েরা মিলে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। পরবর্তীতে সেই একটি মেয়ের সাথেই যৌন মিলনে লিপ্ত হয়। 

৮)ওদাবে উপজাতি: এই উপজাতির অস্তিত্ব দেখা যায় পশ্চিম আফ্রিকার নাইজার অঞ্চলে। এখানে রীতি অনুযায়ী একটি উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসবে ওই গোষ্ঠীর সকল পুরুষরা রংবেরঙের জামাকাপড় পরা সহ এক ধরনের চোরা মেকআপ করে। তারপর একটা নাচের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে মত্ত হয়ে যান। তার পরের পর্বটি বড়ই অদ্ভুত। এই নৃত্য কলা সম্পূর্ণ হওয়ার পরই অন্যের বউ নিয়ে পালিয়ে রয়েছে এই উপজাতির মধ্যে। 

৯)মিশর:  মিশর এমন একটি জায়গা যেটি সম্পূর্ণ রহস্যময়ী। এমন কিছু রহস্য আছে যা মাটি চাঁপা দেওয়া রয়েছে মিশরীয় অঞ্চলে। তবে এখানে একাধিক রহস্য চাপা থাকলেও শারীরিক মিলন সম্পর্কে বেস কিছু ভিন্ন ভাবধারার মানুষ নেই মিশরীয়রা। জানা যায় মিশরে প্রবাহিত নদীর জল শান্ত হবে বোঝার পেছনে তারা মনে করেন মাস্টারবেশন রয়েছে। যার কারণে এই অঞ্চলে কার্যত অনুষ্ঠান কর্মসূচি করে এখানকার পুরুষেরা নিজেদের বীর্য দেয় এই নদীতে। এটাই ওখানকার একটি রীতি। 

১০) ইন্দোনেশিয়ার: এই দেশে বছরের সাত বার পন সেলিব্রেশন করা হয়। কারণ এখানকার  মানুষেরা মনে করেন নিজের স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন মিলন করলে তাদের সকল মনোকামনা পূর্ণ হবে। 
১১) আয়ারল্যান্ড: এই দেশের ইনিস বেগ দ্বীপে এক অদ্ভুত পদ্ধতিতে এখানকার ব্যক্তিরা যৌন মিলন করে। জানা গিয়েছে যৌন মিলনে সময় পুরুষ ও নারী কেউ অন্তর্বাস  খোলেন না। অন্তর্বাস পড়েই নিজেদের মিলন কর্ম ছাড়েন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *