ব্রিটিশকে অসুর সাজিয়ে বধ দেবী দুর্গার। বাংলার কোথায় এই পূজা করা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ বনেদি বাড়ির পুজো যেন মানুষের কাছে একটি আলাদাই ঐতিহ্যের তুলে ধরে।কারন এই ঐতিহ্যের মধ্যেই থাকে বনেদি বাড়ির পুজো অনেক অজানা গল্প।যা আমাদেরকে যেন সব সময় আকর্ষিত করে।আর এই রকমই একটি বনেদি বাড়ি রয়েছে দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরে।হরিশ মুখার্জী রোডের দে বাড়ি।যেখানে গেলে দেখতে পাবেন অনেক আকর্ষণীয় জিনিস তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হল এই বাড়ির দুর্গা মূর্তি।এই দুর্গা মূর্তিটি অন্যান্য বাড়ির দুর্গা মূর্তিটি থেকে একেবারে আলাদা।কারন এই মূর্তিটিতে দেখা যায় ব্রিটিশরূপী অসুরকে দমন করেন দুর্গা।তবে কেন এই রকম মূর্তিটিতে পুজো করেন দে বাড়ি।এই প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগছে।তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এই মূর্তির পিছনে আসল কারনটি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, এই বাড়িতে যেদিন প্রথম দুর্গা পুজোর প্রচলন শুরু হয়েছিল সেদিন থেকে ব্রিটিশরূপী অসুর দমনকারী দুর্গা মূর্তিকে পুজো করা হয়।আর এই মূর্তিটিতে দেখা যায় যে দুর্গার পায়ের তলায় শায়িত অসুরের পরনে থাকে ইংরেজ আমলের কোট প্যান্ট, পায়ে ইংরেজ আমলের জুতো এবং অসুরের মুখের গঠনে ও মাথার চুলেও ব্রিটিশদের ছাপ রয়েছে।এছাড়াও অসুরের মাথার চুল ও গোঁফ খয়েরি রঙের হয়।আসলে ব্রিটিশ সামাজ্যের পতন চেয়েই অসুরকে ব্রিটিশদের মতো সাজানো হয়েছিল। যা আজ পর্যন্ত সেই রীতিকে বয়ে নিয়ে আসছে পরিবারের সদস্যরা।
এই মূর্তির আকর্ষণ ছাড়াও আরেকটি আকর্ষণীয় জিনিস হল দেড়শো বছরের পুরনো কাঠামো যাতে আজও প্রতিমা তৈরি করে পুজো হয়ে করে চলেছে।মায়ের বিসর্জনের সময় মূল কাঠামো জল থেকে তুলে আনা হয়।এবং পরের বছর প্রতিমা তৈরি করা হয় সেই কাঠামো দিয়েই।আর এই প্রতিমা আজও এই বাড়িতেই তৈরি হয়।