অসুর হলেও কেন মহিষাসুরকেও পূজা করা হয়?
নিউজ ডেস্কঃ মহিষাসুর যার অত্যাচারে স্বর্গলোক মর্তলোক অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল।তাঁকে বধ করার জন্য দেবতারা তৈরি দশভুজা দেবীর দুর্গাকে।আর সেই অসুরকেই কেন পুজো করা হয়? এটা কখন ভেবে দেখেছেন। না জানলে জেনে নিন যে এই বিষয়ে পুরান কি বলে।
অসুর রাজ মহিষাসুর যার অত্যাচার শুধু মর্তলোকেই নয় স্বর্গলোকের উপরের চালাতে শুরু করেছিল।তিনি ব্রহ্মার বরে এত শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যে তিনি স্বর্গলোক আক্রমণ করেন।তার কাছে সব দেবতারায় পরাজিত হয় কারন ব্রহ্মা তাঁকে বর দিয়েছিলেন যে কোনও পুরুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারবে না।তাই দেবতাদের পরাজিত করে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেন মহিষাসুর।দেবতারা পরাজিত হয়ে আশ্রয় নেন ব্রহ্মার কাছে আশ্রয় নেন।ব্রহ্মা তখন বিষ্ণু ও মহাদেবের স্মরণাপন্ন হন।মহিষাসুরকে বধ করার জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, ইন্দ্র এবং অন্যান্য দেবতাদের দেহ থেকে নির্গত তেজ থেকে তৈরি করেন এক পরমা সুন্দরী নারী। যার দশ হাতে দশ অস্ত্র দান করেন দেবতারা।এই মহামায়াররূপে আকর্ষিত হয়ে বিবাহের প্রস্তাব দেন মহিষাসুর।আর এই প্রস্তাবকে অবহেলায় প্রত্যাখ্যান করেন দেবী।যারফলে দেবীর সাথে মহিষাসুরের যুদ্ধ শুরু হয় এবং মহিষাসুর নিহত হন।তারপর মহিষাসুর তিনবার জন্মগ্রহণ করেন।তখন দেবী ত্রিবিধ রূপ ধারণ করে তিনবারই তাঁকে বিনাশ করেন।প্রথমে অষ্টাদশভুজা উগ্রচণ্ডা রূপে, দ্বিতীয়বার ভদ্রকালী এবং তৃতীয়বার দশভুজা দেবী দুর্গা রূপে মহিষাসুরকে করে।
‘কালিকাপুরাণ’ অনুযায়ী একদিন রাত্রে মহিষাসুর ভদ্রকালী মূর্তি স্বপ্নে দেখলে।তারপর থেকে শুরু করলেন ভদ্রকালী আরাধনা।এই আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী তাঁকে বর দিতে চান।তখন মহিষাসুর দেবী কাছে বর চায় যে দেবীর সাথে যেন তাঁকেও সকলের পুজো করে।তখন দেবী মহিষাসুর তার চাওয়া বরই প্রদান করে।এরপর থেকে মহিষাসুর ‘উগ্রচণ্ডা, ভদ্রকালী আর দুর্গা, এই তিন মূর্তিতে পদলগ্ন হয়ে সব সময়েই পূজিত হন।