অফবিট

চাকরি বাঁচাতে মালিকের সঙ্গে রাত কাটাতে হয় বাংলাদেশের মেয়েদের

নিউজ ডেস্ক  – পেটের দায়ে অনেকেই নিজের ঘর ছেড়ে পড়ে থাকে বিদেশে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় নিজের দেশের তুলনায় বিদেশে অল্প কাজে অধিক অর্থ পাওয়া যায়। ঠিক সেইভাবেই সবচেয়ে ধনশালী জায়গা হচ্ছে চীনের বিশেষ দুটি প্রশাসনিক অঞ্চল এর মধ্যে একটি হংকং। সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ এই অঞ্চলটিতে ব্রিটেন ও চীনের ধারাবাহিক উন্নয়নের ছোঁয়া রয়েছে বর্তমানে এটি এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। তবে হংকংয়ের খ্যাতি থাকার পাশাপাশি এখানে রয়েছে নারী কর্মচারীদের একাধিক নিপিরণের গল্প। এছাড়াও সিএনএন-এর একটি রিপোর্ট এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে হংকংয়ে নিজের চাকরি বাঁচাতে গেলে মালিকের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতে হচ্ছে প্রায়  ৪ লাখ নারীকে।

নিপীড়িত ২৯ বছর বয়সী মার্তা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে বলেছিলেন, পারিবারিক আর্থিক অবস্থার সংকটে থাকার কারণে এবং অসুস্থ বাবাকে সহায়তা করতে হংকংয়ে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।  সেই সময়টা ছিল ২০১১ সাল।  মূলত তাদের দেশেরই একটি সংস্থার মাধ্যমে যোগাযোগ করে গৃহকর্মীর চাকরির খাতিরে বিদেশ পাড়ি দিয়েছিল।  সেখানে যথারীতি তাকে মালিকের বাড়িতে থাকতে হয়েছিল।  তবে বর্তমানে তার বয়স এসে দাঁড়িয়েছে ৩৭ বছরে। তবে সেই সময়ে মালিকের কাছ থেকে যে পরিমাণ শারীরিক ও মানসিক  নিপীড়ন সহ্য করতে হয়েছিল সেটির  সীমালংঘন হয়ে যাওয়া সমস্ত চুক্তি ভেঙে সেখান থেকে পালিয়ে নিজের দেশে ফিরে এসেছিলেন মার্তা।  তবে উনি একা নন এরকম লাখ লাখ মেয়ে রয়েছে যারা নিজেদের পেটের দায়ে কিংবা সংসার বাঁচাতে প্রতিনিয়ত জলাঞ্জলি দিচ্ছে নিজেকে।  তবে এই সকল অসহায় মহিলারা এসেছেন বেশিরভাগই ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে।  যদিও এর পাশাপাশি রয়েছে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের বহু নারী।  কার্যত শহরটিতে শ্রমশক্তির ১০শতাংশ নারী  হলে পুরুষের সংখ্যা মাত্র ১ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো নির্ভর করে নারীদের উপরে।  অথচ সেই নারীরাই সেখানে অসুরক্ষিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *