কফ এবং জন্ডিস রোগ আরোগ্য করে। তেলাকুচোর অসাধারন ১৪ টি উপকারিতা
নিউজ ডেস্কঃ তেলাকুচোর পাতা আমাদের পরিচিত হওয়ার পাশাপাশি এটি একটি সহজলভ্য পাতা।এই পাতাটিকে অনেকে আগাছা বলে ফেলে দেয়। তবে আপনারা কি জানেন যে তেলাকুচোর পাতা আমাদের শরীরের কি কি কাজে লাগে বা কতটা আমাদের শরীরে পক্ষে উপকারি? তাহলে জেনে নিন তেলাকুচো পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।
১) পিত্তির রোগ ও নাক মুখ থেকে রক্ত পড়া সারায়,বায়ু দূর করে।
২) তেতো তেলাকুচোও মলনি সরণ করায়।অরুচি নাশ করে। শ্বাসের কষ্ট, কাশি ও জ্বর সারিয়ে তোলে।বমিভাব দূর করে।স্বাদ তেতো হওয়ার জন্যে খিদে বাড়িয়ে দেয়।
৩) রক্তবিকার অর্থাৎ রক্তের দোষ শোধন করে।
৪) বমন করবার শক্তি আছে।
৫) কফ এবং জন্ডিস রোগ আরোগ্য করে।
৬) এই গাছের মূল বমি করায় এবং জোলাপের কাজও করে।
৭) শোথ রোগ সারিয়ে দেয়।
৮) ডায়াবেটিস রোগের পক্ষে তেলাকুচোর পাতা অত্যন্ত উপকারি ও হিতকর।প্রতিদিন নিয়ম করে শুকনো পাতা চূর্ণ বা টোটকা রস উপকার পাওয়া যাবেই।
৯) তেতো তেলাকুচোর মূলের চূর্ণ খাওয়ালে সঙ্গে সঙ্গে শ্বেত পদার্থ বেরিয়ে যাওয়া বন্ধ হয়।
১০) কোনো কারনে জিভ যদি ফেটে যায় তাহলে তেলাকুচো চিবিয়ে সেই রস মুখে রাখলে উপকার হয়।
১১) বিছে কামড়ালে তেতো তেলাকুচো পাতার প্রলেপ দিলে জ্বালা বন্ধ হয়।
১২) তেতো তেলাকুচোর মূলের একটি বিশেষ উপকারিতা আছে।এটি জোলাপের কাজ করে।
১৩)তেলাকুচো পাতার রস বা পাতার পুলটিস তৈরি করে লাগালে ফোঁড়া সারে।ব্রণও সারে এই পাতার রসে।
১৪) বৈজ্ঞানিক মতেঃ তেলাকুচোর প্রভাব জননেন্দ্রিয় ও মুত্রাশয়ের উপর বেশি।শরীর স্নিগ্ধ করে, মুত্র ও রক্তের পরিমান বাড়িয়ে দেয়।এই শ্রেণীর অন্য তরকারির মধ্যে তেলাকুচোর পুষ্টিমূল্য বেশি।