ভীমের গদার নাম জানা আছে?
মহাভারতের কুরুক্ষেত্র আজও পৃথিবী বিখ্যাত। শুধুমাত্র সিংহাসনকে কেন্দ্র করে একই পরিবারে ভাইদের মধ্যে যুদ্ধ হয়েছিল মহাভারতে। এমনকি এই মহাভারতেই ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পরিবার। ধৃতরাষ্ট্রের শত পুত্র এবং পাণ্ডবের পঞ্চ পুত্রের মধ্যেই মূলত বচসা ও কুরুক্ষেত্র হয়েছিল। কিন্তু পঞ্চপান্ডবের পাঁচটা পুত্র যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকল ও সহদেবের মধ্যে শুধুমাত্র ভীমই একমাত্র গদাধারী বলে পরিচিত ছিল। যদিও এর পেছনে রয়েছে কিছু কারণ।
পঞ্চপান্ডব যখন অস্ত্র চালানোর শিক্ষা অর্জন করছিলেন তখন ভীমের গুরু ছিল বলরাম। এমনকি ভীমও ছিল তার গুরুর পছন্দের শিষ্য। বলরামের কাছ থেকেই শিক্ষা অর্জন করে গদা চালানোয় পারদর্শ হয়ে উঠেছিলেন ভীম। তবে শুধুমাত্র গদা নয় ধনু বিদ্যাতেও বিচক্ষণ ছিলেন তিনি। তবে সব অস্ত্রের মধ্যে গদা কি যেহেতু ভীম বেশি পছন্দ করতেন তাই জন্য নিজের অস্ত্রকে ভালোবেসে একটি নামও দিয়েছিলেন। ভীমের গদার নাম ছিল বৃগধর। তবে অনেকেই তার গদাকে বৃগধন নামেও ডেকে থাকতো।
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের অষ্টাদশ দিনে দ্বিপায়ান সরোবরের নিকটে ভীমসেন এবং দুর্যোধনের মধ্যে গদা-যুদ্ধ আরম্ভ হয়েছিল। শ্রী কৃষ্ণের কৌশলে সেই যুদ্ধে বিজয়ী হয়েছিলেন ভীম। তবে শুধুমাত্র দুর্যোধন নয় ধৃতরাষ্ট্রের অধিকাংশ পুত্রকে তার গদার দ্বারা হত্যা করেছিলেন ভীম। এছাড়াও মহাভারতের আরও অনেক যোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন তিনি, যেমন- জরাসন্ধ, কেচাক, কিরমির, হিডিম্ব, বকাসুর, মণিমন্ত ইত্যাদি। যেহেতু কোন অস্ত্র ছাড়াই শুধুমাত্র গদা দিয়ে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের অর্ধেক জয় করেছিলেন ভীম তাই মহাভারতের ইতিহাসে এবং পৌরাণিক গাথাতেও গদাধারী হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন পান্ডব পুত্র।