চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর কিছু কার্যকারিতা
সুন্দর ঝলমলে চুল কে না চায়।তবে এই সুন্দর ঝলমলে চুল বানাতে চুলের স্বাস্থ্যের দিকে নজর দেওয়া আবশ্যিক। অনেক নিয়মকানুন মেনে চুলের যত্ন নিতে হয়।নিয়মিত চুল আঁচড়ানোও তার মধ্যে অন্যতম।নিয়মিত চুল না আঁচড়ালে চুলে জট পড়ার সম্ভবনা থাকে যার ফলে পরবর্তীতে চুল পড়ে যায় বা চুল উঠে যায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে চুল আঁচড়ানো এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর কিছু উপকার:
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখা:
চুল আঁচড়ানোর সময় স্কাল্পে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে চুলের স্বাস্থ্যের উপর কার্যকরী প্রভাব ফেলে ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
চুল পরিস্কার হয়:
চুল পরিস্কার রাখতে কেবল শ্যাম্পু ই যে যথেষ্ট এমন ধারণা ভুল। দামী শ্যাম্পু ব্যবহার করলেই চুল পরিষ্কার থাকবে এমন অনেকেই ভেবে থাকেন।কিন্তু চুল পরিষ্কার রাখার প্রধান শর্ত হলো নিয়মিত চুল আঁচড়ানো।বাতাসে উপস্থিত ধুলোবালি সহ নানা ক্ষতিকর উপাদানের হাত থেকে চুলকে বাঁচাতে চুল আঁচড়ানো জরুরি। এছাড়া
স্কাল্পে জমে থাকা এসিডের স্তরকে সরিয়ে দেয় চুল আঁচড়ানো।আমাদের স্কাল্পে প্রতিনিয়ত ইউরিক অ্যাসিড সহ একাধিক অ্যাসিড জমতে থাকে এবং এই অ্যাসিড স্তরকে যদি পরিষ্কার না করা হয় তবে বিভিন্ন ধরনের স্কাল্পের রোগ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।চুল আঁচড়ানোর সময় স্কাল্পের ওপরে জমে থাকা এসিডের স্তর সরে যায় এবং ফলস্বরূপ চুল এবং স্কাল্প, উভয়েরই স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি
চুল আঁচড়ানোর সময় স্কাল্পে রক্ত চলাচল ভীষণ ভাবে বেড়ে যায়। ফলে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত এবং একাধিক পুষ্টিকর উপাদান চুলের গোড়ায় পৌঁছে গিয়ে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি সাধন করে। পাশাপশি চুল পড়াও কমে যায়।
চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে
আমাদের চুলের গোড়ায় একাধিক হরমোনাল এবং তেলের গ্রাল্ড থাকে।আঁচড়ানোর ফলে সেগুলো অ্যাকটিভ হয়ে যায়, ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং ঔজ্জ্বল্য বেড়ে যায়।চুলের সৌন্দর্যও নজর কাড়ে তখন। প্রতিদিন চুল আঁচড়ানোর ফলে চুল আরও শক্তপোক্ত এবং প্রাণোচ্ছল হয়ে ওঠে।সুতরাং সুন্দর-স্বাস্থ্যবান চুল পেতে সর্বপ্রথম চুল আঁচড়ানোর অভ্যাস করা জরুরী।
সতর্কতা
তবে এই চুল আঁচড়ানোরও বেশ কিছু নিয়ম আছে।সঠিক ভাবে চুল না আঁচড়ালে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতা পেতে পারেন বেশি।সুতরাং সুন্দর ঝলমলে চুল পেতে এই গুলি অনুসরন করুন-
সর্বপ্রথম যেটা জরুরি সেটা হলো ভুলে করে স্নানের চুল আঁচড়াবেন না।স্নানের পর চুলের গোড়া খুব দুর্বল হয়ে যায়,ফলে এই সময়ে চুল আঁচড়ালে চুল পড়ার সম্ভবনা বেড়ে যায়।
চুল আঁচড়ানো ভালো, তবে বারবার চুল আঁচড়ানোর ফল কিন্তু ভালো নয়।এতে চুলের উপকার তো হয়ই না বরং ক্ষতি হয়। অতিরিক্ত ঘর্ষনের ফলে চুল নষ্ট হয়ে যায়।