রাতে ঘুম না হলে যে কাজ গুলি করবেন
নিউজ ডেস্কঃ প্রতিটা মানুষেরই সুস্থ থাকতে প্রয়োজন নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘুমের। সারাদিনের খাটনির পর যদি ঘুম না হয় ঠিক মত তাহলে শরীর বিগড়াতে বাধ্য। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে ষোলো ঘণ্টা পরিশ্রম করলে তারপর মোটামুটি আট ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।এর মূল কারণ হল সারাদিন ক্রমাগত কাজ করার ফলে শরীরে অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট খরচ হয়।আর শরীরে এর ঘাটতি মেটানোর জন্য ঘুমের নেই কোনো বিকল্প। অথচ, স্ট্রেস, অত্যধিক কাজের চাপ প্রভৃতি কারণে এখন অনেকেই ইনসোমনিয়া বা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগছেন।
আমাদের শরীরে ঘুমের চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে মেলাটোনিন। মস্তিষ্কে ক্ষরিত হওয়া এই রাসায়নিকের কারণেই ঘুম পায় আমাদের। যদিও সারাদিনই মস্তিষ্কে তৈরি হয় এটি তাও দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ, মোবাইল এ কাজ বা উজ্জ্বল আলো জ্বালিয়ে রাতে কাজ করার ফলে চোখের সামনে থাকা উজ্জ্বল আলো মেলাটোনিন নষ্ট করে ঘুমের নানা সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া রাত জাগার অভ্যাস থেকেও অনেক সময় হতে পারে ইনসোমনিয়ার সমস্যা।
আপনিও কি এই একই সমস্যায় ভুগছেন? রাতে যদি ঘুম না হয় তাহলে মেনে চলুন ঘরোয়া এই টোটকাগুলি
১) প্রাণায়ম শুরু করুন
প্রতিদিন তাড়াতাড়ি রাতে শুয়ে পড়ুন এবং সকালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওঠার চেষ্টা করুন। আর সকলে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিয়ে প্রথমেই প্রাণায়াম করুন ১৫-২০ মিনিট।বেশি কঠিন কোনো প্রাণায়াম করতে বলব না আপনাকে।শুধু পদ্মাসনে বসুন এবং চোখ বন্ধ করে ধ্যান করুন।একবার শ্বাস টানুন আরেকবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন।এভাবে প্রাণায়াম করলে শরীর ও মন ভেতর থেকে শান্ত হবে এবং আপনার অনিদ্রার সমস্যা ও আসবে নিয়ন্ত্রণে।
২) ধীর গতির গান শুনুন
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এবং সকালবেলা উঠেই কিছু ধীর গতির গান শুনুন যা আপনার মনকে করবে শান্ত। চাইলে সকালবেলা এরকম কিছু গান চালিয়ে হলকা ওয়ার্কআউট করুন।এটি যেমন একদিকে আমাদের স্নায়ুর উত্তেজনা কমায় তেমন ই একাগ্রতা ও এনার্জি ও বাড়ায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে কিছুক্ষণ গান শুনলে দেখবেন ঘুমোনো সহজ হচ্ছে বেশ অনেকটাই।
৩)এক্সসারসাইজ
নিয়মিত সকালে উঠে পছন্দের গান চালিয়ে এক্সারসাইজ করা শুরু করুন। রোজ ২০-৪০ মিনিট ওয়ার্কআউট করে দেখুন ঘুমের সমস্যা তো চিরতরে বিদায় নেবেই সেই সঙ্গে শরীর থাকবে সুস্থ এবং ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি র মত সমস্যাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
৪)যোগাভ্যাস
সকালে উঠে এক্সারসাইজ এ যদি থেকে একান্তই অসুবিধা তাহলে তার বদলে প্রত্যেকদিন সকালে উঠে ৩০ মিনিট যোগাসন করা শুরু করুন।সকালে সময় না পেলে বিকেল বা সন্ধ্যাতেও করতে পারেন এটি। এতে স্ট্রেস কমবে আপনার,মনোযোগ বাড়বে,রক্তচাপ থাকবে নিয়ন্ত্রণে, মন ও হবে শান্ত ফলে ভেতর থেকে ভালো অনুভব করবেন আপনি।যা আখেরে ঘুমের সমস্যা কমাবে আপনার।