নিউজ ডেস্ক – গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তা কে চলার উপযুক্ত করতে সেটি মাটি থেকে কংক্রিটে পরিণত করে থাকে বহু দেশ। কিন্তু গোটা পৃথিবীতে অধিকাংশ মাটির রাস্তা মসৃণ ও ঢালাই করে নির্মাণের ক্ষেত্রে যে শিরোনামটি চোখে পড়ে তার এক নম্বরে রয়েছে ভারত। মূলত দু’বছরের লাগাতার সড়ক নির্মাণের কাজ করে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে ভারত সরকার এমনটাই জানালেন ইউনিয়ন রোড মিনিস্ট্রি।
রোড মিনিস্ট্রির ভাষ্যমতে ভারত পরপর দু’বছর ধরে ১০০০০ কিমি রাস্তা তৈরি করেছেন যা রেকর্ড গোটা বিশ্বের কাছে। মূলত সেই রেকর্ডের একবার নজর ফেরালে দেখা যায় –
২০১৪ সালে রোড নির্মাণ করা হয়েছে ৪২৬০ কিমি। পরবর্তীতে চিত্রটি কিছু রকম ২০১৫- ৪৪১০ কিমি, ২০১৬- ৬০৬১ কিমি, ২০১৭ – ৮২৩১ কিমি, ২০১৮ – ৯৮২৯ কিমি, ২০১৯ – ১০৮৫৫ কিমি, ২০২০ – ১০২৩৭ কিমি। অর্থাৎ প্রত্যেক বছর সড়ক নির্মাণের পরিধি ক্রমান্বয়ে বেড়ে গিয়েছে ভারতের ক্ষেত্রে। এবার দেখা যাক কোন সরকারের আমলে কতটা সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে ভারতের পক্ষে।
১/ ১৯৮০ সালের আগে মোট রাস্তা তৈরি হয়েছিল ২৯,০২৩ কিমি।
২/ ১৯৮১-১৯৯৯ সাল পর্যন্ত রাস্তা তৈরি হয়েছে ১৭,৯১৪ কিমি।
৩/ ১৯৯৯-২০০৪ সালের মধ্যে রাস্তা তৈরি হয়েছে ১৫,৯৮৪ কিমি।
৪/ ২০০৪-২০১৪ সালের মধ্যে ইউপিএ সরকারের আমলে রাস্তার পরিধি ছিল ২৭,২৮২ কিমি।
৫/ ২০১৪-২০২০ সালে ভারত সরকার অর্থাৎ বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে সড়ক নির্মাণ হয়েছে ৫৩,৮৮৩ কিমি। তবে শুধুমাত্র সড়ক নয় এখানে এল ও সি এবং এলএসি-তেও ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যাপক উন্নতি করেছে বিজেপি সরকার। তবে শুধু এটি লোকো ভাষ্যমতে কিংবা মুখের কথা নয় রীতিমতো মিনিস্ট্রি অফ রড ট্রানস্পর্ট অন্ড হাইওয়েজ ট্রান্সপোর্টের নিজস্ব সরকারি ওয়েবসাইটে সড়ক নির্মাণের একটি তালিকা ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে।
ইসরোর তরফ থেকে সুখবর! ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো জানিয়েছে তারা নিশ্চিত ভাবে গগনযান মিশন ২০২৩সালেই লঞ্চ করবে। অতিমারি পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে ইসরো। এরই সাথে ভারতের গগনযান মাশনে উঠে পড়ে লেগেছে তারা।
ইসরো গগনযানে নভশ্চর পাঠানোর আগে দুটি নন-ক্রু ভার্সান পাঠাবে। যার প্রথমটি আগামী বছর আর দ্বিতীয়টি এবং প্রকৃত গগনযান ২০২৩সালেই পাঠানো হবে। প্রকৃত ছন্দে কাজ শুরু হওয়ায় দ্রুত আরও মিশন শুরু করবে তারা। তবে তাদের এখন একটা অতিরিক্ত কাজ বেড়েছে। আর সেটা হল প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রী।
দেশে ছোট ছোট স্পেশ এক্সের মত প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রী গড়ে তোলার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ভারত সরকার। বর্তমানে বিশ্বের মোট স্পেশ ইন্ডাস্ট্রির ভ্যলু $৪১৭বিলিয়ন। যার মাত্র ২ শতাংশের শেয়ার ভারতের। ২০৩০সালে বিশ্বের স্পেশ ইন্ডিস্ট্রির শেয়ার ভ্যলু হবে $১.৪ট্রিলিয়ন। ভারতের টার্গেট এর ১০শতাংশ শেয়ার অধিকার করার টার্গেট রেখেছে। গগনযানের পর স্পেশ স্টেশান হলে ক্রু মেম্বারদের সাপোর্টের জন্য মুড়ি মুর্কির মত রকেট উৎক্ষেপণ করতে হবে। আর এত কিছু শুধু ইসরোর পক্ষে সম্ভব না। তাই প্রাইভেট ইন্ডাস্ট্রিকে ইসরোর মাধ্যমে বুস্ট দিতে চাইছে কেন্দ্র।
এরই সাথে ইসরো ১৮মিটারের এক্স ব্যন্ড টেলিমেট্রি কম্যন্ডের এ্যন্টেনা কমিশান করলো। এই প্রথম হাই ডাটা রেটের এ্যন্টেনা কমিশান করা হল। এর আগে ভারত শুধু এক্স ব্যন্ড ব্যবহার করতো শুধু ডাটা ডাউনলোডিং এর জন্য। কিন্তু কম্যান্ডের জন্য এস ব্যন্ড ব্যবহার করতো। যার ডাটা ট্র্যন্সফার রেট কম। যেখানে এস ব্যন্ড ২ থেকে ৪ গিগাহার্ৎজের ফ্রিকুয়েন্সিতে কাজ করে সেখানে এক্স ব্যন্ড ৮-১২গিগাহার্ৎজে কাজ করে। এখন বিভিন্ন টেলি কমিউনিকেশানের কোম্পানিও ৫জি এর জন্য এস ব্যন্ড ফ্রিকুয়েন্সি ব্যবহার করে। তাই এক্স ব্যন্ড হওয়ায় ইসরো অনেক সেফ ভাবে গ্রাউন্ড থেকে স্পেস এ্যসেট যেমন স্যাটেলাইট বা স্পেশক্রাফটকে সিগনাল পাঠাতে পারবে।
এই এ্যন্টেনা সম্পূর্ণ দেশীয়। আর বিভিন্ন রিমোট এরিয়া থেকে একে কন্ট্রোল করা যাবে। ভারতের সূর্য মিশন আদিত্য এল১ এর জন্য এই এ্যন্টেনা খুব প্রয়োজন পরবে।