লাইফস্টাইল

ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে রয়েছে চিনি

নিউজ ডেস্কঃ চিনি। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তো একদমই না, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও এটি বেশি খেতে না করা হয়। কারন এর থেকেই আসতে পারে নাকি একাধিক রোগ। কিন্তু মিষ্টি খেতে গেলে যে চীন লাগবেই। আর সেই কারনেই হাজার না সত্ত্বেও চিনিকে বাদ দেওয়া যায়না। তবে কখনও কি ভেবে দেখেছেন যে চিনি তামাকের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি অব লিভারপুলের এক গবেষক এমনই জানিয়েছিলেন।

চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব বিরাট। যা মানুষের বিরাট পরিমাণে ক্ষতি করতে পারে। মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার পর্যন্ত বৃদ্ধি করে এই চিনি। আর এই কারনেই খাদ্যপণ্যে চিনির পরিমাণ প্রায় ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার কথা বলছেন চিকিৎসকরা। এক পরীক্ষায় উঠে এসেছে যে , জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে প্রায় পাঁচ চা-চামচ চিনি থাকে। টমেটো স্যুপে থাকে প্রায় চার চা-চামচ চিনি। চকলেট বারে থাকে প্রায় আট চা-চামচ চিনি।

একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ  প্রতিদিন ১২ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করেন। জানলে অবাক হবেন যে অনেকে আবার দিনে ৪৬ চা-চামচ চিনিও খেয়ে ফেলেন। চিনি আহরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন। তার বেশি খেলেই বিপদ।

বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে রয়েছে ভূমিকা চিনি এমটাই মত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। উলফসন ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিনের গবেষক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর জানিয়েছিলেন যে , এখনই বিশ্বব্যাপী চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা করা দরকার নইলে সমূহ বিপদ।

এ বিষয়ে আরও এক চিকিৎসক জানিয়েছেন যে চিনি কোনোমতেই খাদ্যপণ্যের পুষ্টিগুন বৃদ্ধি করেনা, এমনকি যিনি এই চিনি খেয়ে থাকেন তিনিও এটি খেয়ে পরিতৃপ্ত পান না। স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে বিরাট ভূমিকা নেয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের খাদ্যপণ্যকে শিশুদের নাগাল থেকে দূরে রাখার বিষয়ে সর্তক করেছেন একাধিক চিকিৎসকেরা। চিনি খাওয়ার আগে মেপে খাওয়ার পাশাপাশি নজর রাখা উচিৎ যে আপনি কতোটা চিনি খাচ্ছেন পাশাপাশি বাড়ির ছোটোদের উপরও নজর দেওয়া দরকার। কারন তারা চকোলেটের মাধ্যমে অজান্তেই প্রচুর পরিমাণে চিনি গ্রহণ করে ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *