তাজমহলকে রক্ষা করতে বাঁশের ব্যবহার করা হয়েছিল। কি এমন কারন ছিল এর পেছনে?
পৃথিবীতে ভালবাসার প্রতীক ও সপ্তম আশ্চর্য স্মৃতিসৌধ হিসেবে পরিচিত আগ্রার তাজমহল। দেশের অন্যতম মূল্যবান স্মৃতিসৌধের পাশাপাশি অনেক রহস্য আছে এই তাজমহলকে ঘিরে। সেক্ষেত্রে পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে ছুটে আসে, ভালোবাসার অন্যতম নিদর্শনকে দেখতে। তবে পুরনো পাতা উল্টালে দেখা যাবে যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হোক কিংবা বাংলাদেশের যুদ্ধ অথবা ভারত এবং পাকিস্তানের যুদ্ধ সব যুদ্ধতেই এমন অনন্য নিদর্শনকে রক্ষা করেছিলেন বাঁশ দিয়ে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৪২ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গোটা তাজমহলকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল বাঁশ দিয়ে। যেহেতু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত ছিল পরাধীন এবং গোট দেশে রাজত্ব চালাচ্ছিল ইংরেজরা সে কারণেই দীর্ঘদিনের এই স্থাপত্যকে আগলে রেখেছিল তারা। বহু পূর্বে প্রযুক্তির উন্নতি না হওয়ায় স্যাটালাইটের কোন ব্যবস্থা ছিল না । তাই মহাকাশ থেকে শহরের বা দেশের ছবি তোলা ছিল মুশকিল। দেশের শাশনাধিপতী হওয়ায় তাজমহলকে রক্ষা করারা দ্বায়িত্ব ছিল ইংরেজদের, যদিও নির্ভেজাল ভাবে নিজেদের দ্বায়িত্ব রক্ষা করেছিল তারা। যুদ্ধের সময় যাতে শত্রুপক্ষ তাজমহলের উপর হামলা চালাতে না পারে তাই তাজমহলকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল বাঁশের পুরু আড়ালে। যেটিকে তখনকার ভাষায় বলা হত ভারা করা। আর সেই ভারা তৈরির উদ্দেশ্য ছিল তাজমহলকে মাইলের পর মাইল উপরে উড়ে আসা বোমারু বিমানের ভিতর থেকে বাঁশের মজুদ ছাড়া আর কিছুই না দেখায়।