মেয়েদের হাতের যত্ন নিতে যেভাবে করবেন অলিভ ওয়েলের ব্যবহার
মুখের সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। দামি ক্রীম ব্যবহার থেকে শুরু করে ঘরোয়া উপায়ে যত্ন কোন কিছু যায় না বাদ।তবে, এসবের মধ্যে যত্ন নেওয়া হয়ে ওঠেনা হাতেরই। অথচ এই হাত দিয়ে সারা দিন করতে হয় কত কাজ। হাতের সঠিকভাবে যত্ন না নিলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে চামড়া হয়ে ওঠে ক্রমশ রুক্ষ ও শুষ্ক। ভাবছেন নিশ্চয়ই সারাদিনের খাটাখাটনির পর এত সময় কোথায় আলাদা করে হাতের যত্ন নেওয়ার? চিন্তা নেই আজ আপনাদের এমন কয়েকটি উপায় এর কথা বলব হাতের যত্ন নেওয়ার জন্য যার জন্য সময় লাগবে নিতান্তই কম অথচ ফল ও পাবেন খুব ভালো ।
আসুন জেনে নেওয়া যাক হাতের যত্ন নেওয়ার কয়েকটি সহজ উপায় এর কথা
1)রান্নার সময় প্রত্যেকদিন আলু,পেঁয়াজ ,মাংস সহ নানা জিনিস কাটতে হয়। প্রত্যেকদিন সবজির রস প্রভৃতি হাতে লেগে অনেক সময় হাত হয়ে যায় কালো ও রুক্ষ ।তাই এবার থেকে সবজি ,মাংস কাটার সময় হাতে গ্লাভস অবশ্যই পড়ে নেবেন। হাতের সামনে যদি গ্লাভস্ না থাকে তাতেও নেই অসুবিধা । নিদেনপক্ষে একটি প্লাস্টিক অবশ্যই পড়ে নেবেন হাতে।এতে হাত থাকবে সুরক্ষিত ও নরম ।
যদি গ্লাভস পড়া বা প্লাস্টিক পড়া নিতান্তই সম্ভব না হয় বা তাড়াহুড়োয় কখনো যদি গ্লাভস পড়তে ভুলে যান,সেক্ষেত্রে রান্না বা যেকোন রকম কাজের শেষে অবশ্যই উষ্ণ জলে ভালো করে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না হাত ।
2)রাতে ঘুমানোর আগে আমরা প্রায় সকলেই কোন না কোন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করি ত্বকে।সেইসময় হাতেও কোন হ্যান্ড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে ভুলবেন না। চাইলে ময়েশ্চারাইজারের সাথে সামান্য পেট্রোলিয়াম জেলি ও ব্যবহার করতে পারেন।এতে ত্বক হবে নরম ও উজ্জ্বল ।
3)অলিভ অয়েল ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী ।আপনার হাতের ত্বক যদি হয় নিতান্তই শুষ্ক ও রুক্ষ্ম সে ক্ষেত্রে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার অলিভ অয়েল এর সাথে চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে ঠোঁটের মরা চামড়া দূর হবে এবং নিমেষেই ত্বক হয়ে উঠবে কোমল ।
4)অতিরিক্ত জলে কাজ করা, বাসন ধোয়ার ফলে হাত হয়ে ওঠে শুষ্ক। সেইজন্য নিমেষে কোমল ত্বক পাওয়ার জন্য বাড়িতেই এভোকাডোর সাথে ডিম মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে তা ব্যবহার করতে পারেন ত্বকে ।এটি ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতা দূর করবে ।
5)অতিরিক্ত জল ঘাটা, অযত্ন প্রভৃতির ফলে হাতের ত্বকের সাথে সাথে নখ ও হয় ক্ষতিগ্রস্ত ।এক্ষেত্রে ব্যস্ততার মধ্যেও সময় করে যত্ন নিতে হবে নখের।পারলে নিয়মিত ভিটামিন অয়েল ঘষে ঘষে লাগান নখে। এতে নখ হবে সুন্দর ।আর হাতে যদি সময় নেহাত কম থাকে তবে নখ কেটে নিতে পারেন খানিকটা। ছোট নখ মেনটেন করা হবে আপনার পক্ষে সহজ ।
6)কখনো হাতে সময় বেশি থাকলে বা হাতের বেশি যত্ন নিতে চাইলে 1 চা চামচ লেবুর রসের সাথে এক ফোটা গোলাপজল মিশিয়ে ভালো করে হাতের ত্বকে ম্যাসাজ করুন কিছুক্ষণ।এর 15 মিনিট পরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন হাত। এতে হাতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে সেই সাথে হাত হয়ে উঠবে মসৃণ এবং সুন্দর ।
7)যদি হাত অত্যন্ত শুষ্ক ও রুক্ষ হয় সে ক্ষেত্রে নিয়মিত গ্লিসারিন ব্যবহার করতে পাবেন ।ভালো ফল পেতে শশার রসের সাথে অল্প পরিমাণ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে নিন ।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন হাত। নিয়মিত ব্যবহারে দেখবেন শীতকালে ও হাত ফাটার মত সমস্যা থেকে পেয়ে গেছেন মুক্তি ।