দৌড়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। একথা কেন বলা হচ্ছে?
আমাদের ছোটবেলায় আমরা প্রত্যেকেই কম-বেশি খেলাধুলা করতাম। আমাদের যারা গুরুজন তাদেরও বলতে শুনেছি খেলাধুলা করলে বা দৌড়ঝাঁপ করলে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আর এইগুলো যে শুধুই কথার কথা তা কিন্তু নয়, এর প্রমাণ দিচ্ছে ম্যারাথন দৌড়।
ম্যারাথন দৌড়ে বাড়তে পারে হৃদপিন্ডের ধমনীর আয়ু। সম্প্রতি এমনই তথ্য জানিয়েছে একটি গবেষণা। লন্ডন ম্যারাথনের জন্য তৈরি হচ্ছিলেন এমন ১৩৮ জন। এই সমস্ত দৌড়বিদের ওপর বার্টস অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন একটি সার্ভে করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কোনো দৌড়বিদ যখন প্রথম ম্যারাথনের জন্য প্রস্তুতি নেন, তখন তার হৃৎপিণ্ডের ধমনী উপকৃত হয়। আর রক্তনালির বয়স চার বছর পর্যন্ত বেড়ে যায়। প্রশিক্ষণ শুরু করার ছয় মাসের মাথায় দেখা গেছে, ম্যারাথনের কারণে হৃৎপিণ্ডের ধমনীগুলোর যেন বয়স কমে গেছে ও ধমনীর কার্যকারিতা বেড়েছে। আর এই পরিবর্তনের ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায় এবং রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে, ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনের মতে, নিয়মিত অল্প সময়ের জন্য অ্যারোবিক ব্যায়াম করলেও হৃৎপিণ্ডের ওপর এই একই প্রভাব পড়বে।
তবে প্রধান গবেষক ড. শালোর্ট মানিস্ট্রি বলেন, যাদের আগে থেকেই হৃদরোগ আছে, তাদের দৌড়ানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
কিন্তু ম্যারাথনের চেয়ে ব্যায়ামের সুফল অনেক বেশি। যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা সবদিক থেকে লাভবান হন।