শরীরের পুষ্টি ঠিক রাখতে পপকর্ণ বাদে আর যে জিনিস গুলি খাওয়া উচিৎ
নিউজ ডেস্কঃ বর্তমান দিনে ওজন দিয়ে প্রচুর মানুষ চিন্তিত।তাই তারা ওজন কমানোর পথ হিসাবে সবার আগে বেছে নেয় কম খাওয়া দাওয়া করাটাকে।কিন্তু সত্যিই কি এটা সঠিক পথ? যাদের মধ্যে এই ধারণটি আছে তারা এটিকে ত্যাগ করুন।হ্যাঁ অবশ্যই ওজন কমাতে ডায়েট করাটা প্রয়োজন কিন্তু তার সাথে আপনাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পৌঁছানোও প্রয়োজন।আর আমরা সবাই জানি যে খাদ্য থেকে বেশিরভাগ পুষ্টি আমাদের শরীরে পৌঁছায়।তাই এই পুষ্টির যদি অভাব হয় তাহলেও ক্ষতি।এই জন্য এমন কিছু খাবার খাওয়া প্রয়োজন যার থেকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুন আমাদের শরীরে জোগান দিয়ে আমাদের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও বেশি পরিমাণে খেলেও ওজন বৃদ্ধি পাওয়া নিয়েও কোনও চিন্তা না থাকে।
পালং শাক : পালং শাক খাওয়া আমাদের শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।কারন পালং শাকে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপকারি উপাদান যেমন- আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ,আয়রন, ফলিত ইত্যাদি।যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এবং হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে এবং ত্বক, চুলের স্বাস্থ্যের জন্য বিভিন্ন ধরনের উপকারী করতেও সহায়ক। তাই পালং শাক খাওয়া খুবই ভালো আর এতে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা কম।
গাজর : গাজর ওজন কমাতে সাহায্য করার পাশাপাশি গাজরে থেকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি যোগান দিতেও সাহায্য করে।এছাড়াও গাজরে থাকা ভিটামিন এ উপাদান চোখকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।
পপকর্ন : কম ক্যালোরির থাকায় পপকর্ন খেলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার ভয় থাকে।কারন প্রতি কাপ পপকর্নে মাত্র ৩০ ক্যালরি থাকে।এছাড়াও এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও এর মধ্যে থাকা পলিফেনলস নামে এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।এছাড়াও এটি হজমে সহায়ক এবং কোষ্ঠকাঠিন্য মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও সাহায্য করে।
আপেল : আপেলে থাকা বিভিন্ন ধরনের উপাদান যেমন- ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং পটাশিয়াম ইত্যাদি যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন উপকার করে থাকে বিশেষ করে এটি দ্রুত হজমে সহায়ক।এছাড়াও এর গন্ধ ক্ষুধা দমন করে যার ফলে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে