ভগবান শিবের প্রলয়কারী ধনুকটিকে কি বলা হয় জানেন?
দেবাদিব মহাদেব এবং শ্রীবিষ্ণু হলেন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সংহারকর্তা এবং পালনকর্তা। এনাদের অপার ক্ষমতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি কারন এনারাই হলেন শক্তির আধার।এনাদের অনেক শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে যাদের মধ্যে কিছু অস্ত্র রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে আমরা মোটামুটি জানি যেমন- শিবের রয়েছে ত্রিশূল, বিষ্ণুদেবের রয়েছে সুদর্শন চক্র ইত্যাদি।এছাড়াও আরো অনেক শক্তিশালী অস্ত্র রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি না। আর এই শক্তিশালী অস্ত্রগুলি মধ্যে অন্যতম হল শিব এবং বিশ্নুদেবের ধনুক। শিব এবং বিষ্ণুদেবের এই ধনুকের নাম কি কে বানিয়েছেন এই নিয়ে আমাদের মনে প্রশ্ন ওঠাটায় স্বাভাবিক? তাই এই শক্তিশালী অস্ত্রে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
দেবাদিব মহাদেবের ধনুকের নাম হল পিনাক যা তার একটি প্রলয়কারী অস্ত্র।এই অস্ত্রটি আবার হরধনু নামেও পরিচিত।এবং বিষ্ণুদেবের ধনুকটির নাম ছিল শার্ঙ্গ।আর এই দুটি শক্তিশালী অস্ত্র তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা যিনি সৃষ্টিশক্তির দেবতা। এবং এনাকে সময়ের সূত্রপাতের প্রাক্-অবস্থা থেকে অস্তিত্বমান স্থপতি তথা ব্রহ্মাণ্ডের দিব্য স্রষ্টা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রজাপতি ব্রহ্মা কৌতুহলবশত কে অধিক শক্তিমান তা তিনি যাচাই করার জন্য কৌশলে তাদের নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার শর্ত রাখেন৷ এরপর তাদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার ফলে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের স্থিতিশীলতা ও সাম্যাবস্থা নষ্ট হতে থাকে৷ এর জন্য সমস্ত দেবগণ ব্রহ্মার কাছে গিয়ে এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণার কথা বলেন ও বিষ্ণুকে জয়ী ঘোষণা করার আর্জি জানান৷এতে শিব ক্রুদ্ধ হয়ে তার ধনুকটিকে ছুড়ে ফেলেন যা পৃথিবীতে এসে পড়েছিল এবং এটিকে খুঁজে পান রাজা জনকের পূর্বপুরুষ দেবরথ৷এরপর বিষ্ণুদেবও তার ধনুক ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং তার ধনুকটিকে ঋচীক মুনিকে দান করেন৷পরে ঋচীক মুনির তার পুত্র পরশুরামকে শার্ঙ্গ ধনুকটি দিয়েছিলেন এবং পরশুরাম হলেন বিষ্ণুদেবের ষষ্ঠ অবতার৷