অফবিট

কলি যুগে কোন অবতারে রুপে পৃথিবীতে দেখা দেবেন ভগবান বিষ্ণু?

নিউজ ডেস্কঃ এই বিশ্বসংসারের পালনকর্তা হলে ভগবান বিষ্ণু।ভগবান বিষ্ণুকে হিন্দু পুরাণ অনুসারে পরমেশ্বরের তিন রূপে মধ্যে একটি রূপ বলে মনে করা হয়। ভগবান বিষ্ণুর যখন কোথাও কোন অধর্ম দেখেন তখনই তিনি স্বযং অবতার ধারন করে সেখানে ধর্মের স্থাপন করেন বলে  মনে করা হয়।তাই কলিযুগের অন্তিম পর্যায় কল্কি অবতারের রূপ ধারন করে স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু আসবেন পৃথিবীতে।

বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, সব দেবতাদের মধ্যে থেকে  সবচেয়ে বেশি মানুষের অবতার ধারন করেছিলেন ভগবান বিষ্ণু।আর তার সমস্ত অবতারের বর্ণনা দেওয়া রয়েছে এই পুরানে। বিষ্ণুপুরাণে বলা হয়েছিল যে বৈকুণ্ঠে  ক্ষীর  সাগরে ভগবান বিষ্ণু এবং তার স্ত্রী দেবী লক্ষ্মী এবং তিনি শেষনাগের ওপর বিরাজমান।

ব্রহ্মাদেব ভগবান বিষ্ণুর নাভি থেকে যে কমল উৎপন্ন হয়েছিল সেখানে বিরাজমান। ভগবান বিষ্ণুর চারটি হাত দেখে এবং চার হাতে চার অস্ত্র থাকে যেমন – বাম দিকের একটি হস্তে কমল অর্থাৎ পদ্ম।আরেকটি হস্তের গদা।আবার ডান দিকের একটি হস্তে শঙ্খ এবং আরেকটি হস্তে সুদর্শন চক্র বিরাজমান।ভগবান শিব যখন এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি রচনার কথা ভাবলেন তখন বিষ্ণুদেবকে তিনি তাঁর শক্তি দিয়ে চার হস্ত রূপে উৎপন্ন করলেন।

মহাদেব  ভগাবান বিষ্ণুর সব হস্তে আলাদা আলাদা শক্তি দিয়েছিলেন।ভগবান বিষ্ণুর এই চারটি হস্তের মধ্যে সামনে দুই হস্ত মানুষের সাহায্যের জন্য অর্থাৎ কোথাও  অধর্ম দেখা দিলে সেখানে ধর্মের স্থাপন করা। এবং পিছনে দুই হস্ত আমাদেরকে আধ্যাত্বিকতার পথ দেখায়। বলা হয় যে মহাকাশের চারদিকে বোঝায় বিষ্ণুদেবের এই চার হস্ত।মনে করা হয় যে  ভগবান বিষ্ণুর এই চার হস্ত হল মানবজাতির চার আশ্রমের প্রতীক।তাই বিষ্ণুদেবের প্রথম হস্তটি হল জ্ঞানের প্রতীক অর্থাৎ ব্রহ্মচারী।দ্বিতীয় হস্তটি হল পারিবারিক জীবন। তৃতীয় হস্তটি হল বনবাস এবং চতুর্থ হস্তটি সন্ন্যাসী জীবনের কথা বলেন।তাই কোন মানুষ যদি ভগবান বিষ্ণু এই চার  হস্তের মহিমা নিজের জীবনে সমাহিত করে নেয় তাহলে পুরাণে বলা হয় যে  সেও পরমেশ্বরের একটি অংশ হয়ে যায়।এছাড়াও আমাদের জীবনের সঙ্গে জড়িত এরকম আরও তথ্য আছে বিষ্ণুপুরাণে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *