ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। রূপচর্চায় তেজপাতার ৫ টি উপকারিতা
উজ্জ্বল মসৃণ ত্বক পাওয়ার ইচ্ছা আমাদের সকলেরই থাকে। আর চাহিদা অনুযায়ী সুন্দর উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার জন্য বাজারে পাওয়া যায় নানা নামি দামি কোম্পানির ক্রিম ও । তবে, মেয়েদের রূপচর্চার এই বিষয়টি যে সদ্য শুরু হয়েছে তা কিন্তু নয়।প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে এসেছে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ।এখন ত্বকের উন্নতি সাধনের জন্য নানা প্রোডাক্ট নিত্য নতুন তৈরি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু দিনের শেষে প্রাকৃতিক উপাদান ই ত্বকের যত্নে কাজ দেয় সব থেকে ভালো। এই রকমই একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো তেজপাতা ।রান্নার স্বাদ বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত এই উপাদান আমাদের সকলেরই অত্যন্ত পরিচিত ।অনেকেই জানেন না এই তেজপাতা কেবল রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাই নয় ত্বক ও চুলের যত্নেও এর রয়েছে বিশেষ উপকারিতা ।
আসুন জেনে নিই রূপচর্চায় তেজপাতার ব্যবহার
1)খুশকি রোধে তেজপাতা:
জীবনে কখনো না কখনো আমরা সকলেই খুশকির সমস্যায় ভুগেছি ।তবে এই সমস্যা কে ছোট করে দেখা কিন্তু উচিত নয় কারণ খুশকির সমস্যা দেখা দিলে তার সাথে চুল পড়া ও বৃদ্ধি পায় ।বিভিন্ন শ্যাম্পু কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরেও খুশকির সমস্যা যায় না অনেক সময় ।এ ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন তেজপাতার গুঁড়ো ।
শ্যাম্পু করার আগে একটি পাত্রে তেজপাতা গুঁড়ো ও কিছুটা টকদই ভালো করে মিশিয়ে তা চুলে এবং স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন ।30 থেকে 40 মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন এটি ।নিয়মিত এই মিশ্রণ ব্যবহার করলে খুশকি সমস্যা তো দূর হবেই সেই সাথে চুল হয়ে উঠবে মজবুত ও উজ্জ্বল ।
2)ব্রণ দূর করতে :
ঘরোয়া উপায়ে বেশি ঝামেলা ছাড়াই ব্রন দূর করতে হলে তেজপাতার জুড়ি মেলা ভার ।তেজপাতায় রয়েছে বিভিন্ন ভেষজ গুণ যা ত্বকের ব্রণ সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করে দেয় ।
মুখের ব্রণ দূর করতে একটি পাত্রে কয়েকটি তেজপাতা জল দিয়ে ভালো করে তার ফোটান দশ মিনিট ধরে ।এরপর ফোটানো জল ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে একটি পাত্রে রেখে দিন ।ওই জল দিয়ে নিয়মিত মুখ ধুলে ব্রণের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে ।
3)দাঁতের হলুদভাব দূর করতে :
অনেকের দাঁত জন্মগত ভাবেই হলুদ আবার অনেকের অযত্নের ফলে দাঁত হয়ে যায় হলুদ ।তবে কারণ যাই হোক দাঁতের এই হাল অনেক সময় অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে আমাদের ।কোনরকম রাসায়নিক মিশ্রিত টুথপেস্ট ছাড়াই দাঁতের হলুদ দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন তেজপাতা ব্যবহার করে ।
দাঁতের হলুদ ভাব থেকে মুক্তি পেতে প্রত্যেকদিন দাঁত মাজার সময় পেস্টের সাথে মিশিয়ে নিন তেজপাতা বাটা। টানা এক সপ্তাহ এটি ব্যবহার করলে দাঁত হয়ে উঠবে একবারে সাদা ।
4)চুলের কন্ডিশনার হিসেবে তেজপাতা:
কন্ডিশনার চুলের যত্নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।শ্যাম্পু যেমন চুলকে করে পরিষ্কার তেমনি কন্ডিশনার বজায় রাখে চুলের আদ্রতা এবং চুলকে রাখে উজ্জ্বল ।তবে অত্যাধিক কেমিক্যাল মিশ্রিত কন্ডিশনার চুলের ভালো করার বদলে চুলের ক্ষতি করে ফেলে আরও বেশি ।রাসায়নিক মিশ্রিত কোন কৃত্রিম কন্ডিশনার ব্যবহার করতে না চাইলে বাড়িতেই তেজপাতা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন ন্যাচারাল কন্ডিশনার ।
একটি পাত্রে জল দিয়ে তেজপাতা সেদ্ধ করুন ভালো করে তারপর ঐ সেদ্ধ করার জল একটি বোতলে ভরে রেখে দিন ।শ্যাম্পু করার পরে ওই জল দিয়ে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেললে দেখবেন অন্য কোনো কিছু ব্যবহার ছাড়াই চুল থাকবে সুন্দর ।
5)ত্বকের দাগ:
ত্বকের দাগছোপের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই ।আর এর ফলে দেখতেও লাগে মুখ নির্জীব ।ত্বকের এই সমস্যা দূর করতে ব্যবহার শুরু করুন টক দই ও তেজপাতা ।
একটি পাত্রে তেজপাতা বাটা ও টকদই ভালো করে মিশিয়ে মুখে মাখলে ত্বকের যে কোনো রকমের দাগ হবে দূর ।শুধু মুখে নয় এই মিশ্রন হাত ও পায়ের দাগ দূর করার জন্য ও ব্যবহার করতে পারেন ।