হিন্দু মন্দির হলেও তিনভাগের এক ভাগ বদলে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া! এমন করার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্ক – গোটা ভূ-ভারতে হিন্দু ধর্মের চিহ্ন থাকবে না একথাটি মূলত অবাস্তব। কারণ হিন্দু ধর্ম হচ্ছে এমন একটি ধর্ম যার ছায়া পড়েছে গোটা পৃথিবীতে। ঠিক সেইভাবেই আফগানিস্তান অর্থাৎ মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্তর্গত হিন্দু মন্দিরের কথা কম বেশি অনেকেই শুনেছে। কিন্তু এবার সেরকম একটি দৃশ্য দেখা গেল ইন্দোনেশিয়ায়। শহরের সমুদ্র উপকূলবর্তী অঞ্চলে এক বৃহৎ শিলা কৃতির মূর্তি রয়েছে যেটি হিন্দুদের দেবতা। লোকো ভাষ্যমতে সমুদ্রের জলের প্রবাহের দ্বারা ক্ষত হতে হতে শিলার এক অভিনব আকৃতিতে পরিণত হয়েছে। যদিও এই মন্দিরের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু পৌরানিক কাহিনী।
ঐতিহ্য বহন করে এই মন্দিরের পৌরাণিক কাহিনী মতে বলা হয়েছে, পঞ্চদশ শতকে নীরার্থ নামে এক পুরোহিত দ্বারা ‘তানাহ লট’ মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। সেই সময়কালে নীরার্থ পুরোহিত সমুদ্র উপকূলবর্তী পাদদেশ ধরে যাত্রা করার সময় পাহাড়ি অঞ্চলে এই অপরূপ জায়গাটি দেখেছিলেন। যথারীতি তিনি একটি রাত্রিযাপন করেন। কার্যত এরপরেই সেখানে মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা আসেন তার মস্তিষ্কে। কিন্তু আকার-প্রকৃতি মন্দির নির্মাণ করা সম্ভব ছিলনা পুরোহিতের পক্ষে। যার কারণে স্থানীয় জেলেদের সহায়তা নিয়ে পাথরের আকৃতি পরিবর্তন করে এক হিন্দু ধর্মের মন্দির গড়ে তোলা হয়। যদিও মূর্তির পাশাপাশি নীরার্থ পুরোহিতের মুর্তি করেও পুজো করা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু এখানেই শেষ নয় অলৌকিক কাহিনী গল্প। জানা যায় এই মন্দিরের দলিল রয়েছে এক বিশাল আকৃতির বিষধর সাপ। গেটিং দীর্ঘ বছর ধরে অশুভ শক্তি সহ শুভ মানুষদের হাত থেকে মন্দিরটিকে রক্ষা করে আসছে। তবে মনে করা হয় নীরার্থ পুরোহিত তার সর্বশক্তি দিয়ে এই সমুদ্র সমান এই বিষধর সাপের সৃষ্টি করেছিলেন। কার্যত মন্দিরটি বহু বছর পূর্বে নির্মিত হওয়ায় বর্তমানে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হচ্ছিল।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারের বিষয়টি নজরে আসতে ১৯৮০ সাল নাগাদ জাপান সরকারের সহায়তায় আসল শিল্পী দেওয়ার কারণে মূল শিল্প এনে মন্দিরের এক-তৃতীয়াংশ বদল করে দেয়। বর্তমানে এক নতুন রূপ নিয়ে মাথা উঁচু করে সমুদ্র পাদদেশে অবস্থান করছে হিন্দু ধর্মের মন্দিরটি।