যখন ইচ্ছে, তখনই ঝাঁট দেবেন না। ঝাঁট দেওয়ার সঠিক সময় জেনেনিন
বাড়িতে ঝাঁটা বা ঝাড়ু রাখার নির্দিষ্ট দিক রয়েছে। সেই সঙ্গে তা রাখার ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মকানুন মেনে চলা উচিত। এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন পূর্ণিয়ার বিখ্যাত পণ্ডিত ও জ্যোতিষাচার্য মনোৎপল ঝা।
তাঁর মতে, এতে অনেক উপকার হবে। তবে একটু ত্রুটি হলেই কিন্তু ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।
জ্যোতিষাচার্য মনোৎপল ঝা বলেন, ঈশানকোণ, অগ্নিকোণ, নৈঋতকোণ ও ভান্ডারকোণ এই চারটি দিক রয়েছে। তবে ঝাঁটা রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল দক্ষিণ এবং পশ্চিমের মধ্যবর্তী অংশ। তাঁর বক্তব্য, ঝাঁটা কখনওই দাঁড় করিয়ে রাখা উচিত নয়। অর্থাৎ ঝাঁটা সব সময় শুইয়ে রাখা উচিত। আর ঝাড়ুর মুখ সব সময় পূর্ব অভিমুখে রাখতে হয়। এতে অনেক উপকার পাওয়া সম্ভব।
জ্যোতিষাচার্যের মতে, অনেকেই ঘরদোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বারবার ঝাঁট দিয়ে থাকেন। তবে যখন ইচ্ছে, তখনই ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। এটা করলে অনেক ক্ষতি হয়।
তাহলে ঝাঁট দেওয়ার সঠিক সময় কোনটা?
তাঁর বক্তব্য, পুরুষ হোক কিংবা নারী – সকলেরই সকালে ওঠার পরে প্রথমে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে হবে। এর পর ঝাঁট দেওয়া শুরু করতে হবে। তবে যে কোনও দিক থেকে ঝাঁট দেওয়া শুরু করা চলবে না। তাতে অর্থাভাব দেখা দিতে পারে।
তাঁর বক্তব্য, পশ্চিম অথবা উত্তর দিক থেকে ঝাঁট দেওয়া শুরু করতে হবে। আর ঝাঁট দেওয়ার পরে ঘরের সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। আবর্জনা এদিক-ওদিক ফেলা হলে দারিদ্র্য আর অসুবিধা বাড়তেই থাকবে। অনেক সময় বাড়ি থেকে লোকজন বেরিয়ে যাওয়ার পরেই ঝাঁট দেওয়া হয়। এটা করা একেবারেই অনুচিত। বাড়ি থেকে কেউ বেরোনোর সঙ্গে সঙ্গেই ঝাঁট দেওয়া উচিত নয়। এতে যে কাজের জন্য বেরোচ্ছেন তা সফল হয় না।
এখানেই শেষ নয়, ঝাঁটা কেনারও সঠিক দিন রয়েছে। শনিবার ঝাঁটা কেনার জন্য ভাল দিন। তবে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ঝাঁটা কেনা উচিত নয়। আবার ঝাঁটা ক্ষয়ে ছোট হয়ে আসতে শুরু করলে তা শীঘ্রই পরিবর্তন করতে হবে। আসলে ঝাঁটা লম্বা হলে ঝাঁট দিতে সুবিধা হবে। কোমরে ব্যথা হবে না। সেই সঙ্গে উপকারও মিলবে।