অফবিট

শিবের ক্রোধাগ্নির থেকে সমুদ্রে এক শিশুর জন্ম হয়েছিল। কি নাম জানেন?

নিউজ ডেস্কঃ জলন্ধর যিনি ছিলেন একটি রাক্ষস।তবে আশ্চর্যের বিষয় হল জলন্ধর রাক্ষস হওয়া সর্তেও তাকে কেন দেবাদিদেব মহাদেবের পুত্র বলা হয়ে থাকে?তাহলে জেনে নিন দেবাদিদেব মহাদেবের রাক্ষস পুত্রের সম্পর্কে। একবার ইন্দ্র গুরু ব্রহ্মার সাথে শিবের দর্শনে কৈলাসে যান।এটি জানতে পেরে মহাদেব ইন্দ্রে পরিক্ষা নেওয়ার জন্যে একটি ঋষির বেশ ধারন করলে এবং তাদের পথের মাঝে বসে পড়লেন।তখন ইন্দ্রে তিনি কে জিজ্ঞাসা করলেও উত্তর না পাওয়ায় ইন্দ্র রেগে গিয়ে বজ্র দিয়ে প্রহার করতে যান ঋষির ছদ্মবেশে থাকা শিবকে।শিব তখন ক্রোধিত হয়ে যায় এবং ব্রহ্মা শিবকে বুঝতে পেরে তাকে ক্ষমা করার অনুরোধ করে।

তারপর শিব তার নেত্র সমুদ্রের দিকে করলেন এবং তার ক্রোধাগ্নি ওই সমুদ্রে জলে ওপর ফেলেছিলেন।ওই স্থানটি ছিল সমুদ্র ও গঙ্গার মিলন স্থল।যার বর্তমান নাম গঙ্গা সাগর।এবং শিবের ক্রোধাগ্নির থেকে ওই সমুদ্রে একটি শিশু জন্ম হয়।শিশুটি জন্মানো পর থেকে খুব জোরে জোরে কাঁদে।যার ফলে ব্রহ্মা আসে ওই শিশুটি কাছে তখন ওই শিশুটির নাম দেন জলন্ধর।তারপর শুক্রাচারিকে ডেকে সেই শিশুটি রাজ্যাভিষেক করা হল।জলন্ধর একজন রাক্ষসদের শাসক হয়ে ওঠেন।তারপর জলন্ধর সাথে কালমিনি নামক এক অসুরের কন্যা বৃন্দা সাথে হয়।যিনি বিষ্ণুর বড়ো ভক্ত ছিলেন।জলন্ধর এত ক্ষমতা পিছনে ছিলেন তার পতিব্রতা স্ত্রী।

বৃন্দা পতিব্রতার জন্য জলন্ধরকে দেবদেবীরা পর্যন্ত পরাজিত করতে পারতেন না।এইজন্যই জলন্ধর দেবদেবীদের উপর অত্যাচার শুরু করেন।কেননা জলন্ধর মনে করতে যে তাকে কেউ হারাতে পারবেন না।একসময় জলন্ধরের সাথে শিবের যুদ্ধ হয়।কিন্তু শিব তাকে পরাজিত করতে পারছিলেন না।তাই বিষ্ণু জলন্ধরকে পরাজিত করার জন্যে জলন্ধরের রূপধারণ করে বৃন্দা কাছে যান।এবং বৃন্দা মনে করেন যে জলন্ধর এসেছেন।তাই বৃন্দা তার সাথে পতিস্বরূপ ব্যবহার করে যার ফলে বৃন্দার পতিব্রতা ধর্ম ভেঙে গেল।তারপর শিব কৈলাসে জলন্ধরকে বধ করেন।সতীত্ব ভেঙে যাওয়ার লজ্জায় বৃন্দা নিজেকে আগুনে দাহ করলেন।এবং তার শরীরের ভস্ম ওই স্থানে একটি তুলসি গাছ জন্মায় অর্থাৎ তুলসি বৃন্দারই রূপ।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *