অফবিট

১০০ বছর ধরে সমাধিস্থ সন্ন্যাসীর মধ্যে প্রাণের উপস্থিতি!

নিউজ ডেস্ক  –   সমাধিস্থ কোন ব্যক্তির মধ্যে প্রাণ অবশিষ্ট থাকা প্রায় অসম্ভব।  এমতাবস্থায় এমন এক সন্ন্যাসীর  চিহ্ন পাওয়া সমাধিস্থ থাকার পরেও  তার মধ্যে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল প্রাণের অস্তিত্ব।  এই আশ্চর্যকর ঘটনা ঘটেছে নেদারল্যান্ডের দ্য মিয়েন্ডার মেডিকেল সেন্টারে। সেই কলেজে প্রায় ১০০ বছর  ধরে সমাধিস্থ সন্ন্যাসীকে এনে পরীক্ষা করে দেখা গেছে। এবং চিকিৎসকদের রিপোর্ট অনুযায়ী সেই প্রবীণ সন্ন্যাসীর মধ্যে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল।  

চিকিৎসকরা ধাতব আকৃতির বৌদ্ধ  সন্ন্যাসীর দেহটিকে সিটি স্ক্যান করে দেখেছেন  যেখানে তারা স্পষ্ট দেখতে পারছেন যে বাইরে থেকে সেটা নিতান্তই একটি মূর্তি মনে হলেও ভেতরে ধ্যানমগ্ন রয়েছে এক সন্ন্যাসী।  তবে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের ক্ষেত্রে এটি কোন বড় ব্যাপার নয়। কারণ সেখানে হামেশাই সমাধিস্থ হয় সন্ন্যাসীরা। এশিয়া জুড়ে এমন রীতি ছিল বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মধ্যে।  চিনেও এরকম দৃশ্য দেখা যায় হামেশাই।  তবে ঠিক কি কারণে সন্ন্যাসীরা নিজেদের সমাধি বানাত সেই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন জেরেমিয়া। তার লেখা ও প্রকাশিত বইটির নাম লিভিং বুদ্ধা।  তবে এই সমাধি একমাত্র ইচ্ছুক সন্ন্যাসীরাই হতেন। 

সন্ন্যাসীরা নিজেদের সমাধিস্থ করার পূর্বে  নিজেদের খাদ্য তালিকা প্রকট বদল আনতেন। সেখানে ভাত ডাল সয়াবিনের পরিবর্তে স্থান পেতে বিভিন্ন  বাদাম , বেড়ি, গাছের ছাল।   যার কারণে শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরে গিয়ে শরীর শুষ্ক হয়ে ওঠে। এছাড়াও সমাধিস্থ হওয়ার পর জাতীয় শহীদের ব্যাকটেরিয়া  রোধ করার জন্য এক ধরনের বিশেষ ধরনের বিষাক্ত হার্ব যুক্ত  চা পান করত। যার কারণে শরীরে ম্যাগট  তৈরি হতে পারত না।  এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি পেত না।  তবে কোন ব্যক্তি সমাধিস্থ হওয়ার পরিকল্পনা নিলে তিনি কঠোর ডায়েট পালন করেন। এপ্রি যখন প্রায় মৃতপ্রায় অবস্থায় পৌঁছে যান তখন তাকে মাটির নিচে একটি কক্ষ তৈরি করে দেওয়া হয়। সেখানে তিনি সমাধিস্থল হয়। তবে বাঁশের কঞ্চির সাহায্যে বাইরে থেকে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। কিন্তু প্রায় তিন বছর সমাধিস্থ থাকার পর অন্যান্য সন্ন্যাসীরা তাকে  মাটির কক্ষ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মন্দিরে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতেন। তবে যে সকল সন্ন্যাসী সমাধিস্থ হতে চাইতেন না তাদের কবর দেওয়া হত।  তবে এই সকল মমিফায়েড  সন্ন্যাসীরা  মৃত নন তারা অমরত্ব লাভ করেন এমনটাই মানে বৌদ্ধধর্মরা। সেই ক্ষেত্রে এই কঠোর তপস্যা সফল হয়েছেন খুব কম সংখ্যক সন্ন্যাসী। তবে সম্প্রতি  পূর্ব এশিয়ার মঙ্গোলিয়ায় একটি ২০০ বছর পুরনো মমি সমাধিস্থ সন্ন্যাসীকে পাওয়া গিয়েছে।   তবে তার শরীর সম্পূর্ণরূপে পোড়ানোর ছিল পশুর চামড়া দ্বারা। সুতরাং এই কঠোর তপস্যা সফল হয়েছে মাত্র কয়েক জন সন্ন্যাসী। নারে অধিকাংশ মাঝপথে বিফলে জান। তবে দীর্ঘদিন সমাধিস্থ থাকার ফলে তাদের শরীর অচল হয়ে গেল প্রাণটা কি করে বেঁচে থাকে সেই নিয়ে এখনও রিসার্চ করছেন বিজ্ঞানীরা।  বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে এখনো।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *