মাহাদেবের মায়া বুঝতে না পেরেই যে ভুলটি করেছিলেন রাবণ
নিউজ ডেস্কঃ ত্রেতা যুগে রাম-রাবণ যুদ্ধে জয়লাভের জন্য রাবণ ভগবান শিবের কঠোর সাধনা শুরু করেন৷ তাঁর সাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে শিব বলেন, শিবলিঙ্গ নিয়ে গিয়ে লঙ্কায় তা প্রতিস্থাপন করার জন্য৷ তবে ভগবান শিব একটি শর্ত দেন, এই সুদীর্ঘ পথের মাঝে কোথাও শিবলিঙ্গ নিচে নামালে চলবে না৷ কিন্তু চলতে চলতে একসময় রাবণ শৌচকর্মের জন্য তিনি এক মেষপালককে সেই শিবলিঙ্গটি ধরতে বলেন৷ বলা হয়ে থাকে, শিবের মায়াতে সেই শিবলিঙ্গের ওজন বেড়ে যায় এবং সেই মেষপালক বাধ্য হয়ে শিবলিঙ্গটি নিচে নামিয়ে রাখে৷ এই স্থান গোকর্ণনাথ নামে প্রসিদ্ধ৷
ভগবান শিবের এই মায়া বুঝতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে যায় রাবণ৷ তিনি বুঝতে পেরে যান যে শিব লঙ্কায় যেতে চাইছেন না৷ বিক্ষুব্ধ রাবণ তাঁর বুড়ো আঙুল দিয়ে শিবলিঙ্গটির ওপর এমন চাপ দিলেন যে তাতে গরুর কানের মতো চিহ্ন হয়ে যায়৷ এখানে আজও প্রতি বছর গোকর্ণ মেলা হয়৷ অন্যদিকে সেই মেষপালককে মারতে রাবণ উদ্যত হলে সে কুয়োতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যুবরণ করে৷ আজও এখানে শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার ভূতনাথের মেলা হয়।
বরাহ পুরাণ কথা অনুযায়ী, একবার ভগবান শিব তিন শিং-এর একটি হরিণের রূপ ধারণ করে৷ দেবতারা বিষ্ণুর নেতৃত্বে শিবকে খুঁজতে পৃথিবীতে আসেন৷ ব্রহ্মা এবং ইন্দ্র শিবের দুটি শিং ধরে নেন৷ তখন শিব নিজের তিনটি শিং ফেলে রেখে অদৃশ্য হয়ে যান৷ এই শিং তখন লিঙ্গের আকার ধারণ করে নেয়৷ দেবতারা শিবের তিনটি লিঙ্গের একটি গোকর্ণনাথে স্থাপন করেন৷ অন্যটি শৃঙ্গেশ্বরে(ভাগলপুর, বিহার) স্থাপন করেন৷ তৃতীয়টি তাঁরা নিজেদের সহ্গে ইন্দ্রলোকে নিয়ে যান৷ ইন্দ্রলোকে রাবণ যুদ্ধে জয়লাভ করে সেই তৃতীয় শিং(লিঙ্গটি) সঙ্গে নিয়ে আসে৷ কিন্তু লঙ্কায় প্রবেশের আগে সেই গোকর্ণনাথে ভুল করে মাটিতে রাখেন সেটি৷ শিব তখন সেখানেই থেকে যান৷ যা গোকর্ণনাথ নামে পরিচিত৷