উপোষ করার পেছনে কি বৈজ্ঞানিক কারন রয়েছে জানেন?
এ এন নিউজ ডেস্কঃ মাঝে মধ্যেই আমরা খেয়াল করে থাকি যে আমাদের মা কাকিমারা বা দিদা ঠাকুমারা উপোষ করে থাকেন। জিজ্ঞাসা করলে নানারকম প্রচলিত গল্প বা পুরানের কথা শুনিয়ে দেন। আর তাতে আমাদের মনের জিজ্ঞাসু অনেকটা মিটলেও পুরোটা মেটেনা। তবে একটা কথা ঠিক যে আগেকার দিনের মণি ঋষিরা যেসব নিয়ম বের করে গেছেন তাঁর পেছনে ছিল যুক্তিযুক্ত বৈজ্ঞানিক কারন।
মাঝে মাঝে উপোষ দিলে পাকস্থলি বিশ্রাম পায় এবং তার কর্মশক্তিও অক্ষুণ্ণ থাকে। চন্দ্র সূর্যের গতি অনুসারে যেমন সমুদ্রের জোয়ার ভাটার বেগ কমবেশি হয়, শরীরের রসেরও তেমন হয়ে থাকে। একারনে একাদশী পূর্ণিমা, অমাবস্যা তিথিতে একবেলা কিছু লঘু আহার করা কর্তব্য। শরীরের অম্লাধিক্যে এইভাবে উপোষ দিলে অম্ল উপশমিত হয়ে দেহগত উপাদানে সাম্যতা আনে। প্রবাদ আছে, ডান নাক দিয়ে শ্বাস বহনকালে আহার করা শ্রেয়, বাম নাকে শ্বাস বহনকালে জল পান করা উত্তম।
এই সঙ্গে আরও জেনে রাখা দরকার যে, পাকস্থলিতে খাদ্য না পরলে পাকরস নিঃসৃত হয়না। পাকস্থলিতে যেমন খাদ্য পরবে সঙ্গে সঙ্গে পাকরস ও পাকস্থলির গা থেকে সেভাবে বের হয়ে ভুক্ত দ্রব্যের সঙ্গে মিশে যায়। উপোষের অর্থ খাদ্যগ্রহন না করা।
পেটে খাদ্যদ্রবের অনুপস্থিতি বশত খাদ্যের নিজের অম্লরস উৎপাদিত হচ্ছেনা, উপরন্তু পাকস্থলি থেকে পাকরস নিঃসৃত হচ্ছেনা, ফলে অম্লরসের যোগানই বন্ধ হয়ে যায়। কাজেই স্বাভাবিক ক্ষার ধর্মই প্রবল হয়ে শরীর সুস্থ করে। অস্ত্রের ধার রক্ষা করতে যেমন শান দেওয়া হয় তেমনই উপোষও শরীরকে শানিয়ে রাখে। অর্থাৎ উপোষেই শরীরের ক্ষারত্ব বাড়ে।