ভগবান বিষ্ণুর হাতে থাকা শক্তিশালী চক্রটির উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিল?
নিউজ ডেস্কঃ ভগবানদের কাছে থাকা শক্তিশালী অস্ত্রগুলির মধ্যে একটি অন্যতম অস্ত্র হল বিষ্ণুদের সুদর্শন চক্র।যা অন্যায়, অশুভশক্তির দমন করতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যবহার করে থাকেন ভগবান বিষ্ণু। সুদর্শন চক্র হচ্ছে একটি ধারালো অস্ত্র যার 108 টি ধারাল ধার আছে। হিন্দু ধর্ম মতে ভগবান বিষ্ণুর হাতে থাকা এই শক্তিশালী চক্রটি উৎপত্তি কিভাবে হয়েছিল জানেন কি? না জানলে জেনে নিন কিভাবে তৈরি বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী,সূর্য দেবতা বিশ্বকর্মার কন্যা সন্ধ্যাকে বিবাহ করেন। কিন্তু সন্ধ্যা সূর্যদেবের অসহনীয় তেজ এবং আলোর জন্য তার নিকটে যেতে পারতেন না।এই বিষয়টি জানান সন্ধ্যা তার পিতা বিশ্বকর্মাকে।তখন বিশ্বকর্মা সূর্যদেবকে বলে যে তার তেজ এবং দিপ্তি কিছুটা কমিয়ে দেন যাতে সন্ধ্যা তার নিকটে আসতে পারে।তারপর সূর্যদেব সন্ধ্যাকে নিয়ে সূর্যালোকে চলে যান।এরপর সূর্যদেবের ফেলে যাওয়া স্বর্ণসরূপ ধুলো দিয়ে বিশ্বকর্মা তিনটি জিনিস তৈরি করেন। একটি হল পুষ্পকরথ, দ্বিতীয়টি হল সুদর্শন চক্র এবং তৃতীয়টি হল ভগবান শিবের ত্রিশূল। বিষ্ণুদেবের এই চক্র দিয়েই দেবী সতীর দেহ বিচ্ছিন্ন করার হয়েছিল।যখন দেবী সতী প্রজাপতি দক্ষের যজ্ঞে আত্মাহুতি দেন তখন ভগবান শিব সতীর মৃতদেহ নিয়ে প্রলয় নৃত্য শুরু করেন।যাতে পুরো সৃষ্টি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।এই জন্য ভগবান শিবকে থামানোর জন্য এবং সৃষ্টিকে সংরক্ষণ করার জন্য ভগবান বিষ্ণুর সতীর দেহ সুদর্শন চক্র দিয়ে 51 টুকরো করে ফেলেন।দেবী সতীর এই 51 টুকরো দেহাবশেষ ভারতবর্ষের 51 টি জায়গায় পতিত হয়। যেগুলি আজকের দিনে পবিত্র সতীপীঠ নামে খ্যাত।আর এই ভাবে উৎপত্তি হয়েছিল বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র।