পৃথিবীর বাকী দেশের থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের মাত্রা পরিমানের তুলনায় অনেক কম। ভুটানের অজনা কিছু তথ্য
ভুটান এমন একটি দেশ যেখানে বনসংরক্ষণের কথা প্রথম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। এছাড়াও বলা আছে যে দেশে ৬০ শতাংশ বনজঙ্গল থাকা উচিত।
ভুটানে সিগারেট বা তামাকজাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায় না। যদি কারোর কাছে সিগারেট থাকে তাও সে এটি খেতে পারবেন না।
ভুটানে ওখানকার সংস্কৃতির পোশাক ছাড়া অন্য সকল প্রকার পোশাক পড়া নিষিদ্ধ।
ভুটানে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত টিভি, ইন্টারনেটের ইত্যাদি ছিল না। ১৯৯৯ সালের পর ওখানকার রাজা সর্বপ্রথম এইসবে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
এখানকার নাগরিকদের বিদেশি কোন নাগরিকে বিয়ে করা নিষিদ্ধ।
ভুটানের রাজধানী থিম্পু যা বিশ্বের এমন একটি জায়গা যেখানে কোনো ট্রাফিক সিগন্যাল নেই।
ভুটানে প্লাস্টিকের ব্যবহার খুবই কম হয়ে থাকে।
ভুটান পৃথিবীর মধ্যে এমন একটি দেশে যেখানে কার্বনডাইঅক্সাইডের মাত্রা পরিমানের তুলনায় অনেক কম।
ভুটানের বেশিরভাগ অর্থ আসে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
ভুটানে শিক্ষা ও চিকিৎসা বিনামূল্যে দেওয়া হয়ে থাকে।
২০১৯ সাল অনুযায়ী ভুটানের জনসংখ্যা প্রায় ৭৪১,৭০০। এখানে জনসংখ্যার প্রায় ৭৪.৮% বৌদ্ধধর্মের মানুষ বসবাস করে। এছাড়াও হিন্দু ধর্মের মানুষ (২২.৬%), ইসলামধর্মের মানুষ (০.১%), খ্রিস্টানধর্মের মানুষ (০.৫%) এবংঅন্যান্য উপজাতি(০.২%) মানুষ বসবাস করে ভুটানে।
এখানকার জাতীয় ভাষা হলেন জোংখা (ভুটানিজ), এছাড়া বুমথাং-খা, শারচোপ-খা ও নেপালি ভাষা প্রচলিত। ইংরেজি ভাষাতে শিক্ষা দেওয়া হয়।
ভূটানের প্রধান খাবার হলো লাল চাল , বাজরা, ভুট্টা ইত্যাদি। এছাড়াও দুগ্ধজাত খাবারের মধ্যে গরু এবং চরমি গাইয়ের দুধের তৈরি মাখন এবং পনির অত্যন্ত জনপ্রিয়। এখানকার জনপ্রিয় পানীয়র মধ্যে আছে মাখন চা, কালো চা, স্থানীয় ভাবে প্রস্তুতকৃত আরা (ভাতের ওয়াইন) এবং বিয়ার আর জনপ্রিয় মশলার মধ্যে আছে: এলাচ, আদা, থিংগে সিচুয়ান মরিচ), রসুন, হলুদ, এবং কেওড়া। ভূটানে শীতকালের প্রিয় খাবারগুলি হল স্যুপ এবং সিদ্ধ মাংস, চাল, ফার্ন, মুসুর ডাল এবং শুকনো সবজি, লাল মরিচ এবং পনিরের সাথে মশলা ইত্যাদি।