দেবতা হলেও হনুমানকে সিঁদুর দেওয়ার পেছনে কি কারন রয়েছে?
নিউজ ডেস্কঃ আমরা মাতা লক্ষ্মী, রাধারানি, কালী, দেবী দুর্গা অর্থাৎ সমস্ত দেবীদের সিঁদুর দিয়ে পূজা করে থাকি কিন্তু কোনো দেবতাদের সিঁদুর দিয়ে পূজা করি না। তাহলে যারা হনুমানের পূজা করেন তাদের কি মনের মধ্যে এই প্রশ্নটা জাগে নি যে হনুমান দেবতা হওয়া সত্ত্বে কেন সিঁদুর দিয়ে পূজা করা হয়? এমনকি বলা হয় নাকি ভগবান হনুমানকে সিঁদুর দিয়ে পুজো দিলে তিনি সন্তুষ্ট হন এবং তাঁর ভক্তের মনস্কামনা পূর্ণ করেন৷ এছাড়াও হনুমানকে সিঁদুর দিয়ে প্রতি মঙ্গলবার পুজো দিলে নাকি গৃহস্থের মঙ্গল হয় এবং সংসারে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। কি আছে রামভক্ত হনুমান-কে সিঁদুর দান করার পিছনের কারন।না জানলে জেনে নিন যে কেন দেবতা হওয়া সত্ত্বেও হনুমানকে সিঁদুর দান হয়ে থাকে।
হনুমান হলেন এর পিতার নাম কেশরী এবং মাতার নাম অঞ্জনা। তাঁর ক্ষমতা পরিচয় আমরা রামায়ণের পেয়েছি। তাই তিনিও রামায়ণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিলেন এবং হনুমানকে ভগবান শিবের একাদশতম অবতার বলে মনে করা হয়। তাই ভগবান বিষ্ণু শ্রীরামের রূপ নিয়ে এবং মহাদেব হনুমানে রূপ ধারন করে রাবন এবং রাবনের সাম্রাজ্য লঙ্কাকে ধ্বংস করেছিলেন। শ্রীরামচন্দ্রের একনিষ্ঠ সেবক হনুমানের সিঁদুর পরার পিছনে রয়েছে একটি কাহিনী।
একদিন হনুমান মাতা সীতাকে সিঁদুর পরতে দেখেন এবং তাঁকে জিজ্ঞেস করেন যে, কেন তিনি সিঁদুর পরছেন? এই প্রশ্ন শুনে শ্রীরামচন্দ্রের স্ত্রী সীতা হনুমানকে জানান যে তিনি তাঁর স্বামী ভগবান রামের দীর্ঘায়ুর জন্যই সিঁথিতে সিঁদুর পরেন।
মাতা সীতা এই কথা শুনে তাঁর প্রভু রাম মঙ্গল কামনায় হনুমান তাঁর পুরো শরীরেই সিঁদুর মেখে নেন। শ্রীরামচন্দ্র গুরুর প্রতি শিষ্যের এমন ভালোবাসা ও ভক্তির কথা জানতে পেরে হনুমানকে আশীর্বাদ দেন যে, তাকে সবাই সিঁদুর দিয়ে পুজো করবে। এরপর থেকে সিঁদুর দান করে পুজো করা হয় ভগবান হনুমানকে।