মৃত দেহের সাথে যৌন মিলন। শেক্সপিয়ারের নাটকেও এর উল্লেখ রয়েছে
নিউজ ডেস্ক – নেক্রোফিলিয়া যে সাইকোপ্যাথিক থেকেও মারাত্মক রোগ সেটি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মনোবিজ্ঞানীরা। তবে শুধুমাত্র বর্তমান যুগে না প্রাচীন যুগ থেকেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে আসছে। কারণ ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ানক মৃত্যু হয়েছিল অমিত ও কাহিনীতে এবং মৃত্যু এবং আত্মহত্যা পূর্ণ কিংবদন্তি মিশরের ফেরাউন ক্লিওপেট্রার মৃত্যু উদাহরণ দিয়েছিলাম।
বিস্তারিতভাবে বলা যায় জুলিয়াস সিজারের মৃত্যুর ১৪ বছর পরে মার্কিন একজনের মৃত্যু সর্বশেষ আহত হওয়ার পর যখন ক্লিওপেট্রা আবিষ্কার করেছিলেন যে অক্টাভিয়াসে আলেকজান্দ্রিয়ায় প্রবেশ করেছেন এবং সর্বশেষ অক্টাভিয়াসকে একটি বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি যেখানে লেখা ছিল” আমি মার্ক অ্যান্টনিকের সাথে শেষ ঘুমের সাথে ঘুমাতে চাই”। সুতরাং এরকম হাড় হিম করা বার্তা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অক্টাভিয়াসে সৈন্যরা দৌড়ে গিয়েছিল কিন্তু ততক্ষণে খুব দেরি হয়ে গিয়েছে।
যথারীতি ইতিহাসে খোদিত রয়েছে ৩০শে আগস্ট ৩০ বিসি ক্লিওপেট্রা দুধ দিয়ে স্নান করার পর নিজেকে সোনার অলঙ্কারে সজ্জিত করেছিলেন। এরপরে তার পেট থেকে একটি এস্প সর্প বের করে ফিরিয়ে নিয়ে খেলতে শুরু করে এবং এটি তার দেহে অর্থাৎ বাম বুকে গন্ধ যুক্ত করে তোলে । যথারীতি এরপরই মৃত্যু হয় ক্লিওপেট্রার। কিন্তু অপরিবর্তনীয় সৌন্দর্য থাকার কারণে শাসকের কাছে আকুল হয়েছিল ক্লিওপেট্রার নিথর দেহ।
পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে সৈন্যরা পৌঁছানোর পর এস্কর্ট কারমায়োনের কাছে মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি জবাবে বলেছিলেন” তিনি নিজে আত্মহত্যা করেছেন এবং তারা এটি খুব ভাল করে করেছে”। যথারীতি ক্লিওপেট্রার শেষ সংবাদ দেওয়ার পর তিনি এবং তাঁর সঙ্গী আইসারও তাকে বিষ প্রয়োগ করেছিলেন।
এই সকল গল্পগাথা পরেও প্রকাশিত হয়েছিল রোমান কিংবদন্তি প্লুটার্কের গল্পে। সেই গ্রন্থটির নাম ছিল লাইফ অফ অ্যান্টনি। এছাড়াও শেক্সপিয়ারের পরবর্তীকালে নাটক অ্যান্টনি এবং ক্লিওপেট্রায় এই কাহিনীটি অবলম্বন করেছিল। যেখানে সেক্সপিয়ার তার স্মরণীয় শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করেছিলেন যে ক্লিওপেট্রার মৃত্যুর সময় তার স্তনের রক্তের প্রসার হয়েছিল।
যথারীতি শেক্সপিয়ারের নাটক এন্টনি এবং ক্লিওপেট্রার শেষ কথা এটাই ছিল যে — ” আমার দাঁত কেটে আমাকে ছিঁড়ে ফেলুন, রাগ দিয়ে আমাকে ভরাট করুন এবং আমাকে কামড় দিন। যদি আপনি কথা বলতে পারেন আমি আপনার মুখ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম। কি নির্বোধ বোকামি সিজারকে আমি পরাজিত করেছিলাম।
সুতরাং এখানে যেমন সুস্পষ্ট কারণ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল খিলজী ঠিক সেইভাবেই দরিদ্র লোকের একটি সেনানী জানতেন যে তাঁর এবং তাঁর সহকর্মীরা যদি যুদ্ধ ছেড়ে দেয় তবে তার দেহের কি হবে। সুতরাং তখন গোটা বিশ্ব বুঝতে পেরেছিলে সকল কর্মকান্ডের পিছনে লুকিয়ে রয়েছে নেক্রোফিলিয়া।
উল্লেখ্য, মনোবিদরা জানিয়েছেন নেক্রোফিলিয়ার সঙ্গে যৌন আচরণের গুরুতর সামাজিক এবং আয়নে পরিণত হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে আইন নীতি কাউন্সিলগুলি নেক্রোফিলিয়াকে ধর্ষণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কারণ একটি মৃত ব্যক্তির দেহের সঙ্গে নেক্রোফিলিয়া আক্রান্ত রা যা করতে পারে তা অন্য কেউ করতে পারে না। ইতিহাসে শুধুমাত্র একটি নয়-এরকম নেক্রোফিলিয়া আক্রান্ত অনেক ঘটনার খোঁজ পাওয়া যায়।