লাইফস্টাইল

ত্বকের যত্নে চিনি, লেবু এবং বেসনের ব্যবহার

নিউজ ডেস্কঃ মুখের ত্বকের যত্ন তো আমরা সকলেই নিই।তবে আমাদের কনুই,হাঁটু এগুলো হল শরীরের এমন কয়েকটি অংশ যা অতোটা যত্ন পায় না।অথচ ত্বকের মৃত কোষ জমে দেহের এই কয়েকটি  অংশে দেখা যায় দৃষ্টিকটু কালো দাগ যা হীনমন্যতা সৃষ্টি করে আমাদের অনেকেরই মনে। তবে জানেন কি একেবারে সহজলভ্য কয়েকটি উপাদান দিয়ে খুব কম খরচে ঘরেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব!

আসুন জেনে নিই বাড়িতে তৈরি করা যায় এমন কয়েকটি প্যাক এর কথা যা ব্যবহার করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাবেন ফল-

1) চিনি ও লেবু

চিনি ও লেবু এই দুটিই অত্যন্ত সহজলভ্য। আর মাত্র এই দুই উপাদান ব্যবহার করেই হাঁটুর,কনুই এর কালো দাগ থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি ।

একটি পাত্রে 1 চা চামচ চিনি অল্প জলে ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে চিনির মিশ্রণে লাগিয়ে কনুই ও হাটু কালো দাগের ওপর 10 মিনিট ধরে ভালো করে ঘষে জল দিয়ে ধুয়ে নিন ।লেবুতে থাকা এসিড ও চিনির শর্করা এই দুই ত্বকের মৃত কোষ তুলে দিয়ে ত্বকে করে তুলবে উজ্জ্বল ।

2) অলিভ অয়েল ও চিনি

ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল এর গুরুত্বের কথা আমরা সকলেই জানি। স্ট্রেচ মার্ক থেকে শুরু করে ত্বকের যেকোনো রকম দাগ দূর করতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত ভালো কাজ দেয়।সেই সাথে এটি ত্বককে রাখে কোমল ও নরমও। অপরদিকে চিনি প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায় আর এই দুটিকে একসাথে যখন মিশ্রিত করা হয় তখন তা যে কোনো রকমের দাগ দূর করতে সক্ষম হয় ত্বক থেকে ।

একটি পাত্রে কিছুটা অলিভ অয়েল ও চিনি যোগ করে তা কোনো কালো ছোপ পরা অংশে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এরপর ভালো করে তা ঘষে ধুয়ে ফেলুন।সপ্তাহে তিন থেকে চার বার ব্যবহার করে দেখুন।মাত্র কয়েক সপ্তাহে দেখতে পাবেন পরিবর্তন ।

3)দই, বেসন ও লেবু

দই বেসন ও লেবু এই তিনটি আমাদের বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায় ।আর এই তিন একত্রে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে হাঁটু বা কোনো অংশের কোনো দাগ তুলতে।এটি ত্বকে জমে থাকা মরা চামড়া দূর করে সেই সাথে ত্বককে করে তোলে উজ্জ্বল ।

একটি পাত্রে এক চা-চামচ টকদই,1 চা চামচ বেসন ও কিছুটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে 10 মিনিট লাগিয়ে রাখুন ত্বকে।এরপর ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে এপ্লাই করে নিন ময়েশ্চারাইজার ।এটি ত্বক থেকে যাবতীয় ময়লা দূর করবে এবং নিয়মিত ব্যবহারে কালো দাগ হবে সম্পূর্ণভাবে দূর ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *