লাইফস্টাইল

আসল ও নকল ডিম কিভাবে বোঝা যায়?

সুপার ফুড হওয়ায় যে কোনও মরশুমেই ডিম খাওয়া যেতে পারে। বাজারে নকল ডিম বিক্রি করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলে খেলা করছে। সব চকচকে জিনিস যেমন সোনা না, তেমনই সব চকচকে ডিমই কিন্তু আসল ডিম না। 

‘সানডে হো ইয়া মনডে, রোজ খাও আন্ডে’ অনেকেই এই বহুল প্রচলিত লাইনকে মেনে নিয়ে প্রতিদিন ডিম খানও। অনেকের ব্রেকফাস্টের প্লেটেই একটি করে ডিম থাকে। কিন্তু জানেন কি, বর্তমানে বাজারে ব্যাপক ভাবে বিক্রি হচ্ছে নকল ডিম। সুপার ফুড হওয়ায় যে কোনও মরশুমেই ডিম খাওয়া যেতে পারে।

ডিমে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-3 থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে। সেই কারণেই বহু লোক ডিম খান। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে নকল ডিম বিক্রি করে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলে খেলা করছে। এরফলে স্বাস্থ্যের ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারে।

দেশে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। শুধুমাত্র  হায়দ্রাবাদেই প্রতিদিন 75 লাখ ডিমের চাহিদা রয়েছে। ডিমের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে দিন দিন বাড়ছে নকল ডিমের ব্যবসা। তাই ডিম কেনার ক্ষেত্রে গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে।

 তাহলে আসল ও নকল ডিম কী ভাবে চিনবেন?

নকল ডিম তৈরিতে এর খোসায় প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। তাই নকল ডিম আগুনের কাছে রাখলে ডিম থেকে পোড়ার গন্ধ আসবে এবং তাতে আগুনও ধরে যেতে পারে। এছাড়া নকল ডিম অনেক বেশি চকচকে ও পরিষ্কার হয়। কিন্তু নকল ডিমের বাইরের খোসা হয় কিছুটা খসখসে।

আসল ডিমের ক্ষেত্রে তা হাতে নিয়ে নাড়ালে ভেতর থেকে কোনও শব্দ পাওয়া য়াবে না। কিন্তু নকল ডিম হাতে নিয়ে ঝাঁকালে কিছু শব্দ পাওয়া যাবে। তাই ডিম কেনার আগে অবশ্যই গ্রাহককে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ এই নকল ডিম খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *