অফবিট

বরফ পিছল হওয়ার পেছনে কি কারন রয়েছে?

১. বিড়াল কেনো গরগর আওয়াজ করে? 

    বিজ্ঞানীরা জানেন যে বিড়াললেরা কিভাবে গরগর আওয়াজ করে, কিন্তু তারা এই প্রশ্নের কোনো উত্তর খুঁজে পায়নি যে কেনো তারা গরগর আওয়াজ করে। কিন্তু অনেক সময় শোনা যায় যে বিড়ালেরা যখন আনন্দে থাকে তখন তারা গরগর আওয়াজ করে, কিন্তু যদি তারা কোন কষ্টে থাকে তখনও গরগর আওয়াজ করতে পারে। কিন্তু এই আওয়াজের পেছনে আসল কারণ কি তা আজও প্রমাণিত হয়নি। 

২. মানুষেরা হাই কেনো তোলে? 

      বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে নিশ্চিত নয় যে আমরা কেনো প্রতিদিন হাই তুলি? তবে বিজ্ঞানমহলে এটা অনুমান করা হয় যে, আমাদের শরীরের যে তাপমাত্রা আছে তা বাইরে বের করার একটি রাস্তা হল হাই তোলা, যেটি আমাদের মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখে। কিন্তু এটা সত্যি যে আমাদের শরীরে এর জৈবিক প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে পরিষ্কার কিছু জানা যায়নি। 

৩. একজন মানুষের থেকে একটি টম্যাটোর জিনের সংখ্যা বেশি কি করে হতে পারে? 

    হ্যাঁ, একটি টম্যাটোর জিনের সংখ্যা একজন মানুষের জিনের সংখ্যার থেকে বেশি। টম্যাটো একটি সরল ফল মানুষের মতো এত জটিলতা নেই তার মধ্যে কিন্তু একটি টম্যাটো তৈরি হতে ৭০০০ এরও বেশি জিনের প্রয়োজন হয়, যা মানুষের জিনের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। তবে, এক্ষেত্রে কিছু বিশ্লেষণ পাওয়া যায় কিন্তু সে বিশ্লেষণগুলি এখনও পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।

৪. অ্যালজেইমার রোগটি কেন হয়? 

      এই রোগটি ১০০ শতাংশ ভাবে নিরাময় করা যায় না। এই রোগটি এমন একটি রোগ যার কারণে স্মৃতিভ্রংশ হতে পারে। অর্থাৎ, রোগী  এই অসুখের কারণে কিছু মনে রাখতে পারে না। অনেক বছর ধরে এই রোগের পেছনে একটি তথ্য প্রচলিত আছে, যে  এই অসুখটি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে, যা কার্যকর ভাবে মস্তিষ্কের কলা কে ক্ষতিগ্রস্ত করে। 

৫. পরিযায়ী পাখিরা কিভাবে তাদের নির্দিষ্ট ঠিকানা চিনে নিতে পারে? 

    অনেক প্রজাতির পাখি আছে যারা তাদের ডিম পাড়ার জন্য অথবা শীতকালীন পরিবেশ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করে থাকে এবং এই পাখিগুলিকে আমরা পরিযায়ী পাখি হিসেবেই চিনি। বিজ্ঞানসম্মত তথ্য অনুযায়ী  এই পাখিগুলি তারা অথবা পৃথিবীর যে চৌম্বক ক্ষেত্র আছে তার সাহায্যে কোন স্থানে যাবে তা ঠিক করে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এটা জানতে অক্ষম হয়েছেন যে, পাখিদের পক্ষে এটা কি করে সম্ভব কোন একটি অঞ্চলের নির্দিষ্ট জায়গা বা নির্দিষ্ট দিক ঠিক করা, যে জায়গাটা তারা পূর্বে কখনো দেখেনি।

৬. প্লাসিবো এফেক্ট বা ছল চিকিৎসা

     ছল-চিকিৎসা এক ধরনের ঔষধ-সদৃশ বস্তু বা চিকিৎসাপদ্ধতি যার কোনও নিরাময়মূলক প্রভাব না থাকলেও এটিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। একে ইংরেজিতে “প্লাসিবো” বলে। সাধারণত রোগীকে মানসিকভাবে আশ্বস্ত করার জন্য যে তাকে ঔষধ প্রয়োগে চিকিৎসা করা হচ্ছে বলে প্রকৃতপক্ষে ছলৌষধ প্রয়োগ করা হয়। এছাড়া ঔষধের কার্যকারিতা ও সুরক্ষা পরীক্ষণ করার সময় নিয়ন্ত্রণ হিসেবে ছলৌষধ ব্যবহার করা হয়। এতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকেরা জানতে পারে না তাদের উপর প্রয়োগকৃত ঔষধ আসলেই কার্যকরী কি কার্যকরী না। ফলে পরীক্ষার ফলাফল কোনওভাবে প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ থাকেনা। কিন্তু এই চিকিৎসা পদ্ধতিকে বিজ্ঞানীরা ঠিক ভাবে বিশ্লেষণ করতে পারে না। 

৭. বরফ কেনো পিছল হয়? 

     বরফের পৃষ্ঠতল এতো পিছল হয় কারণ, বরফ জলের পাতলা স্তর দিয়ে তৈরি। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে এই স্তর তৈরি হয় কেনো? সম্প্রতি গবেষণা করে দেখা গেছে যে, বরফের পৃষ্ঠতল সম্পূর্ণ তরল জল থেকে তৈরী হয় না। আসলে বরফের পৃষ্ঠতল বরফ এবং জলের মিশ্রণ দিয়ে তৈরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *