অফবিট

৯ সন্তানকে পড়াশুনা শেখাতে আফগানিস্তানের সুপার ড্যাডি

নিউজ ডেস্ক –    বাবা-মা ও সন্তানের মধ্যে সম্পর্ক পৃথিবীর যে কোন সম্পর্কের তুলনায় মহৎ মানা হয়। প্রত্যেকটি ঝড় জলে থেকে নিজের সন্তানকে আগলে অল্প অল্প করে ছোট্ট থেকে বৃহদাকৃতির গাছে পরিণত করেন বাবা-মা। তবে এমন বাবা খুব কমই দেখা যায় যে নিজের মেয়েকে  সমাজে এক প্রতিষ্ঠিত নারী করার উদ্দেশ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে রয়েছে। হ্যা এমনই এক বাবা দেখা গেল আফগানিস্থানে। 

বর্তমানে এমন সুপার ড্যাডকে নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে  সোশ্যাল মেডিয়া। জানা যায় আফগানের সাফি আলী নামে এক ব্যক্তির ৯ সন্তান রয়েছে। যাদের মধ্যে কন্যা সন্তান ৭ এবং পুত্র সন্তান ২। হৃদরোগজনিত কারণে অসুস্থতা থাকার জন্য কোন কাজ করতে পারেন না তিনি। তাই খুব অল্প বয়সেই শিক্ষার পাঠ চুকিয়ে সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল দুই ছেলেকে। সেই সময় অসহায় মিয়া খানের কিছুই করার ছিলনা। কিন্তু নিজে শিক্ষার আলোয় উজ্জীবিত না হওয়ার কারণে নিজের মেয়েদের শিক্ষিত করার জন্য এক অদম্য জেদ চেপে বসে তার মনে। পাশাপাশি তাদের এলাকায় একজন চিকিৎসক না থাকায় দৃঢ় হয় তার জেদ। তাই নিজের মেয়েকে শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বাইকে করেনুরিয়ানা স্কুলে পৌঁছে দিতেন। তবে শুধু তাই নয় পৌঁছে দেওয়ার পরে এসব দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না তার বাবার। কার্যত মেয়েদের সুরক্ষার্থে সেখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকে যতক্ষণ না তাদের ক্লাস শেষ হচ্ছে। এরকম করেই আজ দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ নিজের মেয়েদের শিক্ষিত করে তুলতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতেন সাফি আলী খান।

সেখানকার কিছু তরুণ-তরুণীদের প্রচেষ্টায় বিষয়টি বিশ্বের দরবারে আসায় অর্থাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ হওয়ায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে পড়ে গোটা দেশবাসীর। এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এক নতুন পরিচয় সুপার ড্যাডের আক্ষা পেয়েছে সফি আলি খান। তবে তালিবান প্রশাসন আসার পর এই সফি আলির কোনও খোঁজ সেভাবে পাওয়া যায়নি। কারন তালিবান প্রশাসন মেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ট অনীহা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *