ধর্ম প্রচার করা হত মুদ্রার মাধ্যমে! কোন ধর্মে দেখা যেত?
নিউজ ডেস্ক – অনেকেই অবগত নয় ইহুদিদের সময়কালীন হিন্দুও মুসলিমদের মধ্যে ছিল এক অদ্ভুত মিল। সেই বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে নীচের তথ্যাদিগুলিতে।
প্রথম সহস্রাব্দে ইহুদিদের ধর্মীয় মতে তারা জুডাইজমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাতটি শাখাযুক্ত মোমদানি ব্যবহার করত। তাদের কাছে এই মোমদানি ছিলো সবচেয়ে পবিত্র। তবে ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ইহুদিদের উপর হামলা করে, তাঁদের মন্দির ধ্বংস করে। ইহুদিরা বাঁচার জন্য ছড়িয়ে পড়েন ভূমধ্যসাগরীয় ও মেসোপটেমিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে। সেখানকার সংস্কৃতির সঙ্গে মিশতে মিশতে নানান পরিবর্তন আসে ইহুদি ধর্মের মধ্যেও। তারা হিন্দু ধর্মের সংস্কৃতি বিষয়ে অবগত হয়।
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় প্রথম সহস্রাব্দে বিষ্ণুর ৯টি অবতারের বিষয়ে অবগত ছিল সকলে। কিন্তু একাদশ শতাব্দীতে আসলে বিভিন্ন ভাস্কর্য ও স্থাপত্য শৈলীর পর্যবেক্ষণ করে জানা যায় বিষ্ণুর দশটি অবতার রয়েছে। আবার অন্য দিকে নজর ফেরালে দেখা যাচ্ছে মুসলমানদের প্রিয় ক্যালিগ্রাফি। কোন মসজিদ হোক বা রাজপ্রাসাদ সেখানে দেওয়ালে মোজাইক করা বিভিন্ন নিদর্শন গুলি হল ছাদের অক্ষর বা ক্যালিগ্রাফি। অর্থাৎ রাজকীয় যুগেও নিজেদের স্থাপত্য রেখেছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা। আবার ৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বাগদাদ থেকে একটি মুদ্রা পাওয়া গিয়েছে যেখানে খোদাই করা ছিল শিবের বাহন ষাড় ও তার নিচে আরবিতে লেখা ছিল আব্বাসীয় খলিফার নাম। অর্থাৎ মুঘল সাম্রাজ্য হোক কিংবা রাজকীয় যুগ দুটি ধর্ম হিন্দু ও মুসলমান নিজেদের ধর্মের প্রচার করতো মুদ্রার মাধ্যমে।