মহাভারতের যুদ্ধের জন্য কুরুক্ষেত্রকেই কেন বেঁছে নেওয়া হয়েছিল?
নিউজ ডেস্ক: কুরুক্ষেত্রের নাম শুনলেই মনে পরে যায় ১৮ দিন ধরে চলা সেই রক্তক্ষয়ী ভয়াবহ যুদ্ধের কথা। যেখানে ঘটেছিলে ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের মৃত্যু, সহস্ত্র যোদ্ধাদের প্রানহানী। কুরুক্ষেত্র হওয়া এই মহাযুদ্ধের কথা স্বর্ণাক্ষরের লেখা আছে মহাভারতের পাতায়। কিন্তু কেন মহাভারতের যুদ্ধের জন্য কুরুক্ষেত্রের ময়দানকেই বেছে নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ?
মহাভারতের যুদ্ধ ছিল অধর্মের বিনাশ করে ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য। এই জন্য শ্রীকৃষ্ণকে যে কোনও মূল্যে এই যুদ্ধে কৌরবদের বিনাশ নিশ্চিত করতেই হত। এই যুদ্ধটি কোথায় হবে সেই জায়গা নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল শ্রীকৃষ্ণের ওপরে।
শ্রীকৃষ্ণের মনে হয়েছিল যে প্রচণ্ড রক্ত ও সংঘর্ষ দেখে ভাইয়ে ভাইয়ে হারানো প্রীতি ফিরে এলে দুই পক্ষ যুদ্ধের পরিবর্তে সন্ধির পথে বেছে নিতে পারে। কিন্তু তা যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এই জন্য তিনি যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে এমন একটি জায়গায় চেয়েছিলেন যেখানে ভাইয়ের হাতে ভাইয়ের প্রাণনাশের ইতিহাস রয়েছে।এর কারন হল ভাইয়ের আঘাতে ভাইয়ের বুক থেকে বেরনো রক্তের দাগের কলঙ্ক কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে তাহলে প্রীতি জাগাতে পারবে না। এইরকম স্থানের খোঁজার জন্য বিভিন্ন স্থানে তিনি লোক পাঠিয়েছিলেন। তখনই তাঁরই এক চর তাঁকে কুরুক্ষেত্রের ইতিহাস জানায়।
কুরুক্ষেত্রের ময়দানে একবার এক বড় দাদা তার চাষের ক্ষেতে জল ঢুকে যাচ্ছিল বলে বাঁধ দেওয়ার জন্য তার ছোট ভাইকে ডাকে।কিন্তু তার ছোট ভাই বাঁধ দেওয়ার জন্য রাজি না হওয়ায় তার দাদা খুব রেগে যায়।এই রাগের বশে তার ভাইকে হত্যা করে তার মৃতদেহ দিয়ে জলের মুখে বাঁধ দেয়। শ্রীকৃষ্ণ এই ঘটনাটি শোনার পর মহাভারতের যুদ্ধক্ষেত্র হিসাবে বেছে নেন কুরুক্ষেত্রের ময়দানকে।