অফবিট

পৃথিবীর কোন দেশে অপরাধীদের জন্য আলদা চার্চ আছে?

নিউজ ডেস্ক: জার্সি। নামটা শুনেই চমকে উঠলেন নিশ্চয়ই? নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন দেশের জার্সির কথা বলা হচ্ছে? আসলে তেমন কিন্তু নয়, জার্সি একটি দেশ যেখানে যা বৃহত্তম চ্যানেল দ্বীপ যেটি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে অবস্থিত। আয়তনের দিক থেকে একটি অনেকটা ছোট। এর জনসংখ্যা প্রায় এক লক্ষ ছয় হাজারের মত। জার্সি রাজধানী হল ট্রেনটোন। এটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে নয় মাইল এবং উত্তর থেকে দক্ষিনে পাঁচ মাইল জুড়ে বিস্তৃত।

জার্সি দেশ সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য হলো

1. দেশটি আয়তনের দিক থেকে ছোট হলেও এখানে বিশ্বের সবথেকে বেশি জোয়ার ভাটা হয়ে থাকে। আর দিনে কমপক্ষে দু’বার জোয়ার ভাটা হয় এই ছোট দ্বীপে।

2. এছাড়াও রয়েছে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত, বাচ্চাদের খেলার জন্য রক পোলস।

3. জার্সি সম্ভবত একমাত্র দেশ যেখানে আপনি গেলে পাউন্ডের ব্যবহার দেখতে পাবেন। যদিও দৃষ্টিতে তাদের নিজস্ব মুদ্রার রয়েছে।

4. দেশটির সঙ্গে ইংল্যান্ডের একটি সুসম্পর্ক রয়েছে। দেশটিতে দুটি ভাষা বলা হয় ফ্রেন্স ও ইংলিশ।

5. এখানে একটি সড়ক দুটি ভিন্ন নামে পরিচিত। ইংরেজি ভাষায় church street এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় reu trouss cotillon।

6. জার্সির এক অদ্ভুত জিনিস হল এখানে সোয়েটার বোনা জন্য সরকার কর্তৃক শাস্তি নিয়ম বের করা হয়েছিল। 17 দশকের জার্সি দেশের প্রতিটি বাড়িতেই প্রায় সকলেই সেলাই ও বোনাই বাড়ির ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মহিলারা প্রায় সকল সময় হাতে সুই সুতো দেখা যেত। যার জন্য তারা ক্ষেতের কাজে সময় দিতে তাই আজ 1806 সালে জার্সিতে এক নিয়ম লাগু করা হলো যেখানে 15 বছর বয়সের বড় মেয়েরা চাষবাসের সময় করতে পারবে না।

7. সেখানকার মানুষেরা এতটাই সেলাই কাজে মগ্ন থাকতেন চার্চে গেলেও তারা সঙ্গে সোয়েটার সুই সুতো নিয়ে যেতেন যার জন্য চার্চের কাজে বিঘ্ন ঘটত।

8. জার্সিতে এক ধরনের কালো মাখন ব্ল্যাক বাটার তৈরি হয় যার স্বাদ সাধারণত অন্যান্য দুগ্ধজাতীয় দ্রব্যের মতো একদম নয় এটি  আপেল দিয়ে তৈরি।

9. জার্সি রয়েল পটেটো নামে এক ধরনের আলুর চাষ হয়ে থাকে এখানে যা এখানকার অভিজাত পরিবারের জন্য। এই আলু পৃথিবীর আর অন্য কোন দেশে চাষ করা হয় না এটি দেখতে অনেকটা ভিন্ন এবং এর স্বাদ ওঅন্যরকম।

10. এই দেশ একটি চার্চ আছে যেখানে অপরাধীদের প্রবেশের অনুমতি আছে। এছাড়াও এই চার্চে বহু উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিল। অপরাধীদের প্রবেশের অনুমতি থাকায় এখান থেকে বহু অপরাধী সমুদ্রপথে পালিয়ে যেত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *