অফবিট

পৃথিবীর সবথেকে বেশী সোনা আমেরিকার কোথায় আছে?

নিউজ ডেস্ক সকল মানুষ নিজেদের দেশের  ব্যাঙ্ক গুলিতে অর্থ মজুদ রাখে এবং সেখানে  থেকে তুলে নিয়ে ব্যবহার করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে   তাহলেও প্রত্যেকটি দেশের ব্যাঙ্কগুলি নিজেদের অর্থ কোথায় সঞ্চয় করে!   এছাড়াও ওয়েবসিরিজ সিনেমাগুলোতে যেভাবে বিপুল পরিমাণে সোনা চুরির ঘটনা দেখা যায় সেগুলো আদৌ কি সত্যিই! তবে বলা যায় যে হ্যাঁ এই ঘটনাগুলো একদম সত্যি।

গোটা পৃথিবীতে এমন একটি ব্যাংক রয়েছে যার বিশাল গুদামঘরে মজুদ রয়েছে বিপুল পরিমাণে সোনা।  ডি কিসে পাওয়া যায়নি তবে ইতিহাসে এত শুনে একবারে কোথাও মজুত রাখা হয়নি। এই ব্যাঙ্কটির নাম হচ্ছে নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আসলে এটি এমন একটি ব্যাংক যেখানে দেশের প্রত্যেকটি রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক  গুলি নিজেদের অর্থ সঞ্চয় করে রাখে। যদিও অর্থ রাখার জন্য কোন রকম টাকার প্রয়োজন হয় না।  

নিউ ইয়র্কের এই ব্যাঙ্কে  ভূপৃষ্ঠের নিচে মাটি পাথর বালির চতুর্থ স্তরে  বেডরকে রাখা হয় সোনা। মাটির  ৮০ ফুট  নিচে এই ব্যাঙ্কটি অবস্থিত। আসলে মাটির নিচে এক  একটি বিশালাকৃতির ঘর বরাদ্দ রয়েছে এক একটি ব্যাঙ্কের জন্য। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের  এরকম  ঘর রয়েছে প্রায় ১২২টি।  এই ঘরগুলোতে সোনার বাট সাজানো থাকে যার প্রত্যেকটির ওজন  ২৭ পাউন্ড।  অর্থাৎ ভারতীয় কারেন্সিতে একটির ওজন ১২কেজি  ২৪৭ গ্রাম।  এবং দাম প্রায় ১.৬ লক্ষ মার্কিন ডলার।  এই সোনার বাটগুলোতে কোনরকম ক্ষুত্র নেই প্রত্যেকটি বাট ১০০ শতাংশ শুদ্ধ। 

এই মাটির নিচে সিন্দুকের জন্য সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন নিউইয়র্ক সরকার। এই ব্যাঙ্কের নিরাপত্তা রক্ষীরা দীর্ঘ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে এখানে চাকরি করেন।  টানা এক বছরের কঠোর প্রশিক্ষণের পর হ্যান্ড গান,  শটগান এবং রাইফেল চালানোর  সার্টিফিকেট নিয়ে দক্ষতা অনুযায়ী তিন ভাগে ভাগ করা হয় শুটারদের। এই তিন বিভাগের কর্মীদের নাম হল মার্কসম্যান, শার্ট শুটার এবং এক্সপার্টস। মানুষ ছাড়াও ডিজিটাল মাধ্যমে ক্যামেরা, অ্যালার্ ও ম তালা তো রয়েছে। এছাড়াও আসল সিন্দুকে মুখোমুখি একটি ৯০ টনের ইস্পাতের ঘুরন্ত সিলিন্ডার রয়েছে।  অর্থাৎ কোন ব্যক্তি যদি সোনা চুরি করতে চায় তাহলে তাকে ২৫ সেকেন্ডেরও কম সময়ে কাজ শেষ করতে হবে না হলে ব্যাঙ্কে ঢোকা বা বেরোনোর দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। তবে এখানে একমাত্র ঢোকার প্রবেশ পত্র পায় পর্যটকরা। এমনকি এই সিন্দুক গুলিতে আমানতকারীরা খুব একটা আসতে চান না। এত নিয়মকানুন মেনে দীর্ঘ সময় পার করে সিন্দুকে পৌঁছানোর পর নিজে কাজ করে বেরোতে পুরো একটা গোটা দিন সময় লাগে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *