অফবিট

এত কোটি বছর পরেও কিভাবে এবং কোথায় ডাইনোসরের অস্তিত্ব আছে?

নিউজ ডেস্ক – পৃথিবীর সৃষ্টি হওয়ার পরে প্রথম জীব যেমন ছিল তারপরে স্থানে রয়েছে ডাইনোসরের মতন প্রাণীরা। কিন্তু বর্তমান সমাজে ডাইনোসর গল্পে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এত কোটি বছর পরেও ডাইনোসরের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে বেশ কিছু এলাকায়। সম্প্রতি ডায়নোসরের পায়ের চিহ্ন খোঁজ পেয়েছে মালয়েশিয়ার কাতালন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক। কাতালনের তানাহ মেরাহের বুকিত পানাও নামক স্থানে ডাইনোসরের সাতটি পায়ের ছাপ উদ্ধার করেছে বিজ্ঞানীরা। কার জন্য মালয়েশিয়ার পর এবার ভারতে ডাইনোসরের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও সেই বিষয়ে রিসার্চ চালিয়ে যাচ্ছেন কাতালনের বিশেষজ্ঞরা যার নেতৃত্বে রয়েছেন কাতালন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের প্রভাষক আরহাম মোকতার আছমাদ বাহার। কার্যত বিজ্ঞানিক ভাষায় এই ডাইনোসর উপজাতিটি হচ্ছে সৌরপড। 

গবেষণা প্রসঙ্গে আরহাম মোকতার বলেন, ২০১৭ সাল থেকে ডাইনোসরের অস্তিত্বের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে বিজ্ঞানীরা। তারপরে সেই অভিযানে যে সকল সাতটি পায়ের ছাপ পাওয়া গেছে ডাইনোসরদের অনুমান করা হচ্ছে সেই  পায়ের ছাপ আজ থেকে প্রায় ১ লক্ষ ৪৫ হজার থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর পূর্বের।  ডাইনোসরদের পায়ের ছাপ দেখে বোঝা যাচ্ছে এরা মূলত চার পা বিশিষ্ট ভেষজজীবী সরীসৃপ।  পাশাপাশি খুঁজে পাওয়া জীবাশ্মগুলো দেখে ধারণা করা যায়, এগুলো নয় মিটার লম্বা ও ৩০ থেকে ৪০ টন ওজনের কোন বিশালকায় প্রাণীর। এই প্রজাতির ডাইনোসর পৃথিবীর সবথেকে বড় প্রজাতির ডাইনোসর হিসেবেও পরিচিত।

বিজ্ঞানী আরও বলেন,  শুধুমাত্র আমরা নই জাপানের ডাইনোসর বিশেষজ্ঞরাও এই পায়ের চিহ্ন গুলিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।   তবে ডাইনোসরের উপর শুধুমাত্র একটি বিজ্ঞানী দল নয় বহু বিজ্ঞানী দায়ী এই বিষয়ে রিসার্চ করেছেন।  যেখানে তাদের তথ্যে উঠে এসেছে  বুকিত পানাওতে ডাইনোসরগুলির অস্তিত্বও আছে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। যেগুলো দক্ষিণ থাইল্যান্ডের কিছু অঞ্চলে ডাইনোসরের জীবাশ্মের মিল থাকতে পারে। সুতরাং কোথায় কিভাবে ডাইনোসরের চিহ্ন পাওয়া যাবে সেই বিষয়ে বর্তমানে খোঁজ জারি রেখেছে ডাইনোসর বিশেষজ্ঞ দল। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *