নাক, কান, চোখ, জিভ থেকে সবসময় রক্ত ঝরছে তরুণীর। কি এমন কারন রয়েছে এর পেছনে?
নিউজ ডেস্ক – গোটা পৃথিবীতে এমন অনেক ধরনের বিরল রোগ দেখা গিয়েছে বিজ্ঞানে কোনরকম চিকিৎসা নেই। তবুও সে সকল রোগ নিয়ে রিসার্চ করে চলেছেন বৈজ্ঞানিকরা। এরকমই একটি রোগের হদিস পাওয়া গেল ১৭ বছর বয়সি সুন্দরী ব্রিটিশ কন্যা মর্নির জীবনে। শৈশবকাল থেকে সবই ভালো ছিল তবে একদিন হঠাৎ সকালবেলা উঠে দেখি দুচোখ দিয়ে গল গল করে ঝরছে রক্ত। আয়নায় নিজের মুখ দেখে এক অদ্ভুত প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়ায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। এর পরই তাকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান মা ক্যাথলিন। সেখানে রীতিমতো পুরো শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্লাড টেস্ট করা হয় মর্নির।
পরবর্তীতে রিপোর্ট দেখে চমকে গিয়েছিল চিকিৎসকরাও। কারণ সব রিপোর্ট ছিল নর্মাল। তাহলে কোথা থেকে ধরছিল এই রক্ত সেই বিষয়ে রীতিমতো চিহ্নিত হয়ে পড়েছিল গোটা চিকিৎসা বিজ্ঞান। এর পর কোন রোগের হদিস না পাওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে পরবর্তীতে বাড়ি গিয়ে দেখা দেয় আরও গম্ভীর অবস্থান। কারণ এরপর শুধুমাত্র চোখ নয় নাক, কান ,মাথা, সর্বাঙ্গ থেকেই ঝরছিল রক্ত।
পরবর্তীতে সুন্দর সাজানো জীবন তছনছ হয়ে যায় মর্নির। তার মার কাছে তার রোগের কারণ জানতে চায় সে। কিন্তু ক্যাথলিনও এর কোন উত্তর দিতে পারেনা। বহু নানান গল্প দিয়ে মেয়ের মন ভোলাতে চাইলেও ভোলাতে পারে না। রীতিমতো স্কুল বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিশু কন্যার। কারণ শুধুমাত্র একটাই তাকে দেখে ভয় পায় শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষকরাও। পাশাপাশি এই নিয়ে একবার নিজের এফবি অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলো মর্নি। কিন্তু সেখান থেকেও পেয়েছে বহু মানুষের লাঞ্ছনা। তাই গোটা দুনিয়ার কাছ থেকে অবহেলা পাওয়ার পর জীবন ত্যাগ করার রাস্তা বেছে নিয়েছিল সে। কিন্তু মার্কেটিংয়ের অনেক বোঝানো ও আগলে রাখার জন্য এখনও সেই পথে হাঁটতে পারেনি মর্নি। যদিও এই বিরল রোগের চিকিৎসার না হওয়া একটি প্রশ্ন উঠেছে চিকিৎসা মহলের উপর। বর্তমানে মর্নিকে রহস্যময়ী কন্যা হিসেবে পরিচয় দিয়েছে চিকিৎসকরা।